শুধু এক গানকে ঘিরে হয়ে গেলো অনেক কিছু। চাকরি হারালেন আর্জেন্টিনা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক কর্তা। তদন্তে নেমেছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। শাস্তি মুখে আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কী ছিল সেই গানে? যা নিয়ে তোলপাড় বিশ্ব ফুটবল। সেই গানের কথা প্রকাশ করেছে ডেনমার্কের গণমাধ্যম বোলা ভিআইপি। এতে দেখা যায়, গানটিতে ফ্রান্স এবং কিলিয়ান এমবাপ্পের পরিচয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন আর্জেন্টাইনরা।
মূল ঘটনা গত সোমবারের। কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ও রেকর্ড ১৬তম শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়ে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তাদের শিরোপা উৎসবের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করছিলেন দলে মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ।
সেই লাইভ চলাকালে ফ্রান্সকে নিয়ে বর্ণবাদীমূলক গান ধরেন আর্জেন্টাইনরা। যদিও এর পরপরই লাইভটি বন্ধ করে দেন চেলসির এই মিডফিল্ডার। এ নিয়ে অভিযোগ করে ফ্রান্স ফুটবল। যদিও দ্রুত লাইভটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন এনজো।
ক্ষমা চেয়েও পার পাচ্ছেন না আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। চেলসিও তার বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলামূলক প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানায়। এদিকে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফএফ) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায়।
এরপরই তদন্তের ঘোষণা দেয় বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির বিষয়ে অবগত রয়েছে ফিফা। এবং এ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। খেলোয়াড়, সমর্থক কিংবা অফিশিয়ালদের যেকোনো প্রকার বর্ণমাদমূলক আচরণের কঠোর নিন্দা করছে ফিফা।’
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কী ছিল সেই গানের কথায়। মূলত কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের পর আর্জেন্টাইনদের সঙ্গে শত্রুতা বাড়ে ফ্রান্সে। মাঠের লড়াইয়ের প্রভাব পড়ে বাইরেও। সেই প্রভাব কোপা আমেকিরার জয়ের উৎসবে নিয়ে আসে আর্জেন্টিনা।
গানটির কথা হচ্ছে:
‘শুনুন, কথাটি ছড়িয়ে দিন
তারা অ্যাঙ্গোলা থেকে এসে খেলে ফ্রান্সে
কী দারুণ দৌড় তাদের
তারা ফা** এমবাপ্পের মতো রূপান্তরকামীদের ভালোবাসে
তোর মা নাইজেরিয়ান, তোর বাবা ক্যামেরুনের
কিন্তু আইডিতে তুই ফরাসি জাতীয়তা’
সে সময় টিম বাসে ছিল না ইনজুরি আক্রান্ত লিওনেল মেসি। কিন্তু আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এবং আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়াকে ক্ষমা চাইতে বলেন আর্জেন্টিনার আন্ডার সেক্রেটারি অব স্পোর্টস জুলিও গারো। এরপরই এই কর্তাকে ছাঁটাই করেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ার মিলেই।