চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে এক বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছেন, তারা বলেছেন আন্দোলনের পাশাপাশি তারা আলাপ-আলোচনা করতেও আগ্রহী। আমরা তাদের এই আলাপ-আলোচনার প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের এই প্রস্তাবকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তাদের এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে (আইনমন্ত্রী) ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা তাদের সঙ্গে বসবো। তারা যদি আজকে বসতে চান, আমরা আজকেই বসতে রাজি আছি।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঘোষণা দিতে বলেছেন যে, কোটা সংস্কার নিয়ে ৭ আগস্ট যে মামলার শুনানিটা ছিল, সেই শুনানিটা এগিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নিতে। আমি সেই মর্মে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছি, তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল বিভাগে আবেদন করবেন, যাতে মামলার শুনানির তারিখ তারা এগিয়ে আনেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ উত্তপ্ত ঢাকা। সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। প্রথম দিকে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় বাধা দিলেও শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় একপর্যায়ে পিছু হটে।
দুপুর ১২টার পর রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা দফায় দফায় বিক্ষোভ করছেন। কোথাও কোথাও পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, উত্তরা, আজিমপুর, খিলক্ষেত, নতুনবাজার থেকে রামপুরা, কাকরাইল, মিরপুর-১০, যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, পুরান ঢাকা, ঢাকা ক্যান্টমেন্ট এলাকার ইসিবি চত্বরে আন্দোলনকারীদের শিক্ষার্থীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।