প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪, ৯:২৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি দেশের সর্বস্তরের জনগণ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিকে পুঁজি করে কাউকে সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনও কর্মকাণ্ডকে সহ্য করা হবে না।
বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সবাইকে ধৈর্য ধারণ ও সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি উচ্চ আদালতের রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশের জনগণ যখন প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছে ঠিক তখন কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে এবং দেখতে পাচ্ছি, এই কর্মসূচিকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি সারা দেশে সন্ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। শুরু থেকেই ছাত্রদল ও শিবিরের সন্ত্রাসী ক্যাডারবাহিনী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এখন তারা ব্যাপক সন্ত্রাস ও অরাজকতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামাতের ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির ফলে ইতোমধ্যে কয়েকটি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিকে পুঁজি করে কাউকে সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রাজপথে থাকবে।