প্রকাশ: বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪, ৯:৫৬ পিএম আপডেট: ১৭.০৭.২০২৪ ৯:৫৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সারা দেশের ন্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ির ইমাম বাড়ায় যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে ও তাজিয়া মিছিলের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে (১০ মহররম) পবিত্র আশুরা। এ উপলক্ষে দেশ বিদেশ থেকে আগত শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীদের হায় হুসেন হায় হুসেন মার্সিয়া মাতমে পৃথিমপাশার জমিদার বাড়ি সরব হয়ে ওঠেছে। সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহ কারবালার প্রান্তরে ঘটে যাওয়া ট্রাজেডি স্মরণে প্রতি বছর মহরম মাসের ১০ তারিখ এই শোকাবহ দিনটি পালন করলেও পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ির ইমাম বাড়ায় ১ মহররম থেকেই শুরু হয় এর আনুষ্ঠানিকতা। শিয়া সম্প্রায়ের মুসলমানরা ১ মহররম থেকে তাদের বয়ে চলা নিজস্ব ভঙ্গিমায় বেশ ঘটা করেই তা পালন করেন। আর এ উপলক্ষে দেশ বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে তাঁরা জমায়েত হন পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ির ইমাম বাড়ায়।
স্থানীয়রা জানান, পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ি, তরফি সাহেব বাড়ি ও মনরাজ বাড়িতে ১ মহররম মজলিশ, মিলাদ, মাহফিল ও দোয়ার মাধ্যমেই শুরু হয় পবিত্র আশুরার আনুষ্ঠানিকতা। ৯ মহররম সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মজলিশ, মার্সিয়া মাতম, জারি, নোওয়া, সাথে চলে রোজা ও নফল নামাজ ইবাদাত বন্দেগি। আর ১০ মহররম তাজিয়া মিছিলের মাধ্যমেই সমাপ্ত হয় আনুষ্ঠানিক শোক পালনের কার্যক্রম।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ির ইমাম বাড়া থেকে ছোট বড় প্রায় ৪০টি তাজিয়া নিয়ে মিছিল সহকারে রবিরবাজার সংলগ্ন পদ্ম দীঘির পাড়ে ‘স্থানীয়দের কাছে কারবালার ময়দান’ নামে পরিচত স্থানে এসে শেষ হয়। সেখানে খঞ্জর ও ছুরি দিয়ে শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীরা নিজেদের শরীরের রক্ত ঝরিয়ে হায় হুসেন হায় হুসেন মার্সিয়া মাতমের মাধ্যমে কারবালার সেই শোক স্মৃতি স্মরণ করেন।
পৃথিমপাশা ইমাম বাড়ার মোতাওয়াল্লি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী আব্বাছ খান জানান, মহররম মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই শুরু হয় তাদের শোক পালনের কার্যক্রম। এটি দেখতে সকল ধর্মের লোকজনের সমাগমঘটে।
কোন রকম অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়া তাজিয়া মিছিল ও ছুরি মাতমসহ পবিত্র আশুরার সকল আনুষ্ঠানিকতা পালনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর শতাধিক সদস্য মাঠে ছিলেন।