প্রকাশ: বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪, ৭:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পুলিশের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছে। এতে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের হল ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনকারীরা রাস্তায় অবস্থান নেয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরে বিকাল সোয়া ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ধাওয়া দেয় পুলিশ। এ সময় রাবার বুলেট-টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করলে ঘটনাস্থলেই আহত হন বেশ কয়েকজন।
এর আগে বেলা পৌনে ১টার দিকে ক্যাম্পাসে সাঁজোয়া যানসহ প্রায় শতাধিক পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নেন। আন্দোলনকারীরাও ওই সড়কে পুলিশের বিপরীতে অবস্থান নেন। এ ছাড়া বেলা ২টার দিকে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে অবস্থান নেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষাথীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতরা।
এ সময় তারা প্রশাসনিক ভবনের উভয় ফটকে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, সিন্ডিকেট সদস্য এবং একাধিক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নেয়। পরে বিকেল সোয়া ৫টায় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে তারা হলের দিকে দৌড়াতে থাকে।
উস্কানি ছাড়াই পুলিশ হামলা শুরু করেছে অভিযোগ করে এক আন্দোলকারী জানান, দুপুর থেকেই পুলিশ আমাদের মুখোমুখি অবস্থান নেয়। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কোনোরকম উস্কানি ছাড়াই পুলিশ আমাদের ওপর হামলা শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর এ হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আলমগীর কবির বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মেনে হল না ছাড়লে আমরা কোনো দায় নেব না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমার পক্ষে ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব না।
প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন গতকাল মঙ্গলবার বেশ সহিংস রূপ নেয়। এদিন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ৬ জন মারা যান। আহত হন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।