প্রকাশ: বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪, ৬:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ১২ টার দিকে জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের পদ্মাসেতু সংলগ্ন জমাদ্দার মোড়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত কয়েকদিনে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশের রাবার বুলেটের আঘাতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলার শিকার হয়ে নিহত হয় অন্তত ৬ জন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের শাস্তির দাবী জানিয়ে বুধবার বেলা ১১ টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মাসেতু সংলগ্ন জমাদ্দার মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। পরে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। ৩০ মিনিট চলা এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পরে আন্দোলনকারীরা পিছু হটলে সাড়ে ১২ টার দিকে সড়কটির নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্রলীগ। এর আগে সকাল ১০ টার দিকে পদ্মা সেতু টোল প্লাজার সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের প্রতিরোধে পিছু হটে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও জাজিরার ক্লাব মোড়ে আন্দোলনকারীরা দীর্ঘক্ষণ সড়ক অপরাধ করে রাখেন।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, সারাদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিচার চেয়ে আমরা মানববন্ধন করছিলাম। প্রথমে আমরা পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার সামনে আসলে ছাত্রলীগ আমাদের উপর হঠাৎ করেই হামলা চালায়। আমরা পরবর্তীতে জমাদ্দার মোড়ে আসলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হৃদয় হোসেন মাদবর বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে ছাত্রদলের ইন্ধনে কিছু কতিপয় শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ও পদ্মা সেতু অবরোধ করার চেষ্টা করে। আমরা খবর পেয়ে সাধারণ জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় সকল আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেই।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার মত তুচ্ছ ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদের আমরা বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া পদ্মা সেতু এলাকায় সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৫ টি স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।