প্রকাশ: বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪, ২:৫০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সংকট ও ভর্তি রোগীর বেডের অভাবে চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটছে। উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র চিকিৎসার মাধ্যম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অস্থায়ী ভবনে বর্তমানে চিকিৎসা সেবা চলছে। পুরাতন ভবন ভেঙ্গে পড়ার পর, ভবনটি একের পর এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের জটিলতার কারণে দীর্ঘ ১৬ বৎসরেও নতুন ভবনের কাজ না হওয়ায় বর্তমানে অস্থায়ী ভবনে চিকিৎসা, জরুরি সেবা, ভর্তি রোগ ও অফিসিয়াল কার্যকলাপ চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও আছে মাত্র তিনজন মেডিকেল অফিসার। তিনজন মেডিকেল অফিসার দিয়ে উপজেলার দেড়ে লক্ষ জনগণের চিকিৎসা সেবা মারাত্মক ঝুঁকি হয়ে পড়েছে। তিনজন চিকিৎসকের ভিতরে মাঝে মাঝে দুই একজন চিকিৎসকরা ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণে যেতে হয় তখন মাত্র একজন চিকিৎসক দ্বারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কার্যকলাপ চলে।
ইউনিয়ন পর্যায়ে কোন মেডিকেল অফিসার নেই।
কাউখালী হাসপাতালে বর্তমানে কোন ভবন না থাকায় অস্থায়ী হাসপাতালের ভবনে মাত্র ২০ রোগীর বেডের জায়গা রয়েছে। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকে ফলে এক-এক সিটে দুইজন মাঝে মাঝে তিনজন রুগিও থাকে। ফলে রোগীদের দুর্ভোগের কোন শেষ নাই।