প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪, ৯:৫২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মোংলা বন্দর জেটির অভ্যান্তরে বিদেশ থেকে আমদানীকৃত একটি প্রাইভেট গাড়ীতে (হাইস গাড়ী) আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর জেটির ২নং কার ইয়াডে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন্দরের ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে প্রায় আদঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে পাশে থাকা অন্যএকটি গাড়ীতে কিছুটা তাপ লাগলেও বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও গাড়ী আমদানীকারকরা। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কিমিট গঠন করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সুত্রে জানায়, মোংলা বন্দরের অভ্যান্তরের সেড ও ইয়াডে আমদানীকারক ব্যাবসায়ীতের রাখা আছে জাপান থেকে আমদানীকরা বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রায় কয়েক হাজার রিকন্ডিশন গাড়ী। এছাড়া বন্দরের সেড বা ইয়াড ছাড়াও ওপেনিয়ন শেড-২ ও ১নং কার ইয়াডেও প্রচুর পরিমানে সারীবদ্ধ করে গাড়ী রাখা হয়েছে। সম্প্রতি সেখান থেকে শতাধিকেরএ বেশী আমদানীকারকরা গাড়ী নিলামে বিক্রি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলে জানায় বন্দরের বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ। যারা নিলামে গাড়ী ক্রয় করেছে তারা সেই নিলামে ক্রয়কৃত গাড়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে বের করার জন্য চালক নিয়ে জেটির ইয়াডের ভিতরে প্রবেশ করে তারা। এ সময় চালক মো: ইরফান উল্লাহ দিপু নামের চালক গাড়ীর ডালা খুলে ঢুকে গাড়ীটি চালু করতে গেলে হঠাৎ মেশিনে আগুন লাগে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ীটির মধ্যে ধাউ ধাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। মুহুর্তের মধ্যেই পুরো গাড়ীটি পুরে ছাই হয়ে যায়। এসময় গাড়ীর পাশেই নিলামে গাড়ী ক্রয়করার মালিক পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। খবর পেয়ে বন্দরের ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে অনেক চেষ্টায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। কিন্ত চালক দিপু (২৭) গাড়ী থেকে বের হতে না পেরে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। আহত গাড়ী চালক ইরফান দিপু চট্রগ্রাম জেলার বাকুলিয়া গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। সে মাইক্রো ড্রাইভার, এসেছিল নিলামে ক্রয়করা গাড়ী চালিয়ে মালিকের বাড়িতে পৌছে দিতে।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও বন্দরের নিরাপত্তার্মীরা দ্রুত গাড়ী চালক ইরফান দিপুকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বন্দর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বন্দর জেটির মধ্যে রক্ষীত গাড়েিত আগুন রাগার কারণ জানতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মোঃ শামিম হাওলাদারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে এর প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহিন রহমান বলে জানায় বন্দরের উপ-সচিব মাকরুজ্জামান মুন্সি।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো বন্দর কর্তৃপক্ষ ও গাড়ী আমদানীকারকরদের আমদানীকরা হাজার কোটি টাকার গাড়ী। তবে আগুন অন্যদিকে ছড়িয়ে যেতে না পারায় পাশে থাকা অন্যান্য গাড়ীর তেমন কোন ক্ষতি হয়নী।
ঘটনার পর পরই দুর্ঘটনা কবলীত এলাকা পরিদর্শন করেছে বন্দরের উর্ধতন কর্মকর্তারা ও মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ সহ পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা।