প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪, ২:০৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইলে ব্রীজের সংযোগ সড়ক ভেঙে পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বুধবার (১০জুলাই) ভোরে টাঙ্গাইল -তোরাপগঞ্জ সড়কের সদর উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর উপর চারাবাড়িঘাটে চারাবাড়ি ব্রীজের পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। এতে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, কাকুয়া, মাহমুদ নগর ও নাগরপুরের ভাড়রা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জানাগেছে,টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর উপর চারাবাড়িঘাটে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিগত ২০০৬ সালে ১৭০.৬৪২মিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রীজটি নির্মাণ করে। ব্রীজটি নির্মাণের পর থেকেই কয়েকবার বর্ষায় দফায় দফায় পূর্ব ও পশ্চিম তীরের অ্যাপেপ্রাচে ধ্বসে যায়।
এলজিইডি স্থানীয়দের সহায়তায় বালুর বস্তা ও লোহার পাত দিয়ে সাময়িক সংস্কার করে। বুধবার ভোরে ফের ব্রীজের পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়
এলাকাবাসাী জানান, এ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে ব্রীজ পাড় হয়ে চলাঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া সন্তোষ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চরাঞ্চলের ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াত একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক।এছাড়াও চরাঞ্চলের কৃষিপণ্য,তাঁত শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেওয়া করতে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক, অটোভ্যান, অটোরিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে থাকে।
যানবাহন চালকরা বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই একটু একটু করে পানির নীচে ধ্বস নামমছিল। ভোরে যাত্রী নিযে এসে দেখলাম ভেঙে গেছে।পরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভাঙনের দৃশ্য দেখতেছি । এটি দ্রুত বিকল্প ব্যাবস্থা না নিলে আমরা যানবাহন চালাইতে পারবো না।
কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুমন দেওয়ার বলেন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানির চাপ বেড়ে পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচসহ সংযোগ সড়ক ও কয়েকটি বাড়িতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই দ্রুত প্রদক্ষেপ না নিলে এ ব্রীজ ভেঙে চরাঞ্চলের মানুষেরম দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা জানান, সাম্প্রতিক বৃষ্টি ও প্রবল স্রোতের কারণে ব্রীজের পাড় ধ্বসে যাচ্ছে। যেহেতু এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক দ্রুতই চারাবাড়িঘাট ব্র্রীজের ঢালে ধ্বস বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।