প্রকাশ: বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪, ৪:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শ্রীনগরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক হিসেবে সুপরিচিত বেজগাঁও-কুকুটিয়া-নাগেরহাট রোডটি খানাখন্দে ভরে গেছে। শ্রীনগর উপজেলার বেজগাঁও এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কুকুটিয়া হয়ে পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার নাগেরহাট বাজার পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। অনেকাংশে দেবে যাওয়ার পাশিপাশি খানাখন্দ আর অসংখ্য গর্তে ভরা প্রাধান সংযোগ সড়কটিতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কাও। স্থানীয়দের দাবি বেজগাঁও-কুকুটিয়া-নাগেরহাট সড়কটি সংস্কারের পাশাপাশি প্রসস্তকরণের। বাস্তবায়িত হলে এটিকে বাইপাশ রোড হিসেবে লৌহজং উপজেলার কনসার, নাগেরহাট, কাহেতারা, নয়নাকান্দাসহ ওই এলাকার গনগণের রাজধানীতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ১০/১২ কিলোমিটার সড়কের দূরত্ব কমে আসবে।
সহজতম সড়কে পথচারীর দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি সময়ও বাঁচবে। একই সাথে শ্রীনগর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের জনসাধারণের লৌহজং উপজেলাসহ বিভিন্ন দিকে চলা ফেরায় বাড়তি সুবিধা হবে। এখন সরু সড়কে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, অটোরিক্সাসহ অন্যান্য হালকা যানবাহন চলাচল করলেও রাস্তা প্রসস্ত হলে এপথে মিনিবাস, লেগুনাসহ অন্যান্য গণপরিবহণ অনায়াসেই আসা যাওয়া করতে পারে। এখন এই অ লের বাসিন্দাদের অটোরিক্সায় করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে শ্রীনগর বেজগাঁও এসে এক্সপ্রেসওয়েতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে গণপরিবহণ ধরে ঢাকা যাওয়া আসা করতে হচ্ছে। তবে বেজগাঁও-কুকুটিয়া-নাগেরহাট সরু সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করার ফলে খানাখন্দে ভরা সড়কটি নাজুক হয়ে পড়ছে। দেখা গেছে, আকাবাঁকা সড়কে থাকা গর্তগুলো যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। এতে দুর্ঘটনা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পথচারীরা। কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাবুল হোসেন বাবু বলেন, সড়কটি দুটি উপজেলার সহজতম যোগাযোগ মাধ্যম। প্রতিদিন এদিক দিয়ে অসংখ্য গাড়ি চলাচল করে। সড়কের অনেকাংশে পিচ উঠে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। এছাড়া কুকুটিয়া-সুরুদীয়া সেতুর দুই পাশের সড়কের অনেকাংশে দেবে গিয়ে বিপদজনক হয়ে উঠেছে। সড়কটি সংস্কার হলে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. মহিফুল ইসলাম জানান, সড়কটি প্রসস্তকরণের জন্য বরাদ্দ আসলে পরিদর্শন করা হয়। আকাবাঁকা সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন বসতবাড়ি ও স্থাপনা থাকার ফলে সড়ক প্রসস্তকরণের বিষয়টি বাতিল হয়। পরে সড়ক সংস্কারের জন্য মোটা করে আরসিসি কাজের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়।