প্রকাশ: বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪, ৪:০১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক মাদরাসা সভাপতির বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৮ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিম গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১১ সালে স্থানীয়দের আর্থিক সহযোগিতায় রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া গ্রামে ‘ভরনিয়া দারুল হাদীস ওয়াদ দাওয়াহ্ আস্-সালাফিয়্যা মাদরাসাটি গড়ে উঠে। মাদরাসাটির দুইটি শাখা রয়েছে। একটি ছাত্রীদের জন্য আবাসিক এবং অপরটি ছাত্রদের জন্য অনাবাসিক। আবাসিকে ১৫-১৬ জন কিশোরী রাতযাপন করে। মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিম রাতের বেলা প্রায় সময় আবাসিকে যাতায়াত করতেন এবং মেয়েদের জুস খাওয়াতেন। জুসে মেশানো থাকতো চেতনানাশক ওষুধ বা ঘুমের বড়ি। আর সেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছাত্রীদের ধর্ষণ করতেন।
৮ জুলাই সব ছাত্রীদের ছুটি দেওয়া হলেও তিনজন ছাত্রীকে সভাপতির নির্দেশে ছুটি দেওয়া হয়নি। মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিম ওই রাতে গিয়ে ওই তিন কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস খাওয়ান। কিশোরীরা ঘুমিয়ে গেলে গভীর রাতে মাদরাসার ভেতরে প্রবেশ করে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি পরদিন জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ জানান এবং আব্দুল করিমের বাড়ি ঘেরাও করেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে মাদরাসার এক কিশোরী জানান, সভাপতি আব্দুল করিম প্রায় সময়ই মাদ্রাসায় আসতেন এবং মাঝে মধ্যে ছাত্রীদের জুস খাওয়াতেন। জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ থাকতো। সবাই যখন ঘুমিয়ে যেত তখন সভাপতি তাদের ওপর নির্যাতন চালাতেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মইন উদ্দীন কাবুল বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে আমরা এক শিক্ষককে ঘটনাটি তদন্তে ছাত্রী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলতে বলি। তাদের সঙ্গে কথা বললে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তারা সভাপতির বিচার চেয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রকিবুল হাসান বলেন, ভরনিয়া গ্রামে ‘ভরনিয়া দারুল হাদীস ওয়াদ দাওয়াহ্ আস্-সালাফিয়্যা মাদরাসা’ আবাসিক ‘বালিকা হিফজুল কুরআন’ বিভাগে কিছু কোমলমতি ছাত্রী যারা ছিলো তাদের সাথে অনৈতিক কাজ করেছেন। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিমে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।