প্রকাশ: বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪, ১:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের ‘অপরাধলব্ধ’ আয়ের পরিমাণ ৬২ কোটি টাকা। শামসুদ্দোহার চেয়ে তাঁর স্ত্রীর অপরাধলব্ধ আয় বেশি, পরিমাণ ৪১ কোটি টাকা। শামসুদ্দোহার অপরাধলব্ধ আয় ২১ কোটি টাকা।
জ্ঞাত আয়–বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে এই দুজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাতে অপরাধলব্ধ আয়ের এই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হয়েছে। স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবেই জমা হয়েছে ৪১ কোটি টাকার বেশি।
২০১৮ সালে পুলিশ কর্মকর্তা শামসুদ্দোহা ও তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধান শেষে জ্ঞাত আয়–বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে মামলা করে দুদক। পাঁচ বছর তদন্ত শেষে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অস্বীকার করে শামসুদ্দোহা মঙ্গলবার রাতে মুঠোফোনে বলেন, দুদকের মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। তিনি জামিনে আছেন। তাঁরা বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবিলা করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে।
অবশ্য অভিযোগপত্রে দুদক বলেছে, শামসুদ্দোহা সরকারি কর্মকর্তা থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির আশ্রয় নেন। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ আয়কে বৈধ করার পূর্বপরিকল্পনা করেন তিনি। তাঁর নিজের বেতন–ভাতা বাবদ আয়ের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ জমা হয় স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার নামে খোলা বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাবে (অ্যাকাউন্ট)। তাঁর স্ত্রী একজন গৃহিণী। তাঁর বেতন–ভাতার চেয়ে স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়া অর্থের পরিমাণ ৪১ কোটি ২৯ লাখ টাকা বেশি। আর শামসুদ্দোহার ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ২১ কোটি ৫ লাখ টাকা।
দুদক পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের বিপুল সম্পদের খোঁজ পেয়েছে। সেসব সম্পদ আদালতের আদেশে জব্দ করা হয়েছে। এরই মধ্যে সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হলো।