প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪, ৯:০০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সুন্দরবনে ৩ মাসের জন্য পর্যটকবাহী নৌযান প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবীতে মানবন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে মোংলা ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন (টোয়াস) ও যন্ত্র চালিত জালি বোট মাঝিমাল্লা সংঘ সহ কয়েকটি সংগঠন। মঙ্গলবার দুপুরে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল ও ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু ক্যানেলের ত্রীমোহনায় এ কর্মসুচি পালন করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ শ্রমিকরা।
মানববন্ধন'র আয়োজকরা জানায়, ২০২২ সাল থেকে সুন্দরবনের পর্যটক ষ্পট করমজল, হারবাড়িয়া ও আন্দারমানিক এলাকায় প্রান প্রকৃতি সুরক্ষায় বন্যপ্রানী ও মৎস্য সম্পদের প্রজনন মৌসুম তাই তিন মাসের জন্য সুন্দরবনের পর্যটকবাহী নৌযান প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। ১ জুন থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকবে বলে ঘোষনা দেয়া হয়। এ তিন মাস পর্যটক পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার পর্যটক পরিবহন নৌযান শ্রমিকরা বেকার বসে থেকে অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। যাতে করে অন্য পেষায়ও যেতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিন যাপন করছে শ্রমিক ও ট্যুর মালিকরা বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। তাই দ্রুত এ নিষেধাজ্ঞা প্রতাহারের দাবীতে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করছেন তারা। এসময় তাদের জীবন জীবিকা চলার বাহন নৌযানে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি ব্যানার হাতে নিয়ে কয়েক শহাস্রাধিক মালিক কর্মচারী ও শ্রমিকরা মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
তাদের অভিযোগ, সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর চ্যানেলের এ রুট দিয়ে প্রতিনিয়ত পন্য বোঝাই দেশ-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ, কার্গো ও লাইটার জাহাজ, তেলের ট্যাংকার সহ বড় বড় নৌযান চলাচল করছে। যাতে প্রচন্ড ডেউ সৃষ্টি হচ্ছে, শব্দ করে চলছে এসকল নৌযান। তাতে যদি সুন্দরবনের বন্যপ্রানী বা মাছের প্রজনন নষ্ট না হয়, তবে সামান্য ছোট্ট্র জালী বোট বা ট্রলার চলাচল করলে কি ভাবে প্রজনন নষ্ট হয় তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়ার দাবী সংগঠনের নেতাদের। এছাড়া হারবাড়িয়া, ফেয়ারওয়ে বা হিরোন পয়েন্ট এলাকায় বানিজ্যিক জাহাজে দেশ-বিদেশী নাবিক, আমদানী-রপ্তানীকারক ব্যাবসায়ীরা চলাচল করছে। তাদের যাতায়াতেও জালী বোট ব্যাবহৃত হচ্ছে কিন্ত নদীতে এসকল বোট দেখলেই তা আটকিয়ে মোটা অংকের জরিমানা নিচ্ছে বন বিভাগের সদস্যরা বলে অভিযোগ আয়োজকদের। তারা সুন্দরবনে পর্যটকবাহী নৌযানের উপর বনবিভাগের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে পর্যটক ক্ষাতকে আরো শক্তিশালী করার আহবান জানানো হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, জালি বোট মালিক সমিতির সভাপতি বন্দর ব্যাবসায়ী এইচ এম দুলাল, সাধারন সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান, মাঝি মাল্লা সমিতির সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মোঃ সোহাগ, মোংলা লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি মাইনুল হোসেন মিন্টু, খুলনা টোয়াস’র দপ্তর সম্পাদক মোঃ রকি, রুবেল, মোংলা ট্যুরস ব্যাবসায়ী খোকন সহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
তবে যদি সুন্দরবনে পর্যটকবাহী নৌযান প্রবেশের চলমান তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হয় তবে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারী করেণ মানবন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসুচির আয়োজক ও সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দরা।