প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪, ২:৩৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয়বারের মতো সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ঢলের পানিতে এরইমধ্যে তলিয়ে গেছে তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার ঘরবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক ও ফসিল জমি। সেইসঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দুই লক্ষাধিক মানুষ।
অন্যদিকে ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে পৌর শহরের কাজীর পয়েন্ট, উত্তর আরপিননগর, নতুন পাড়া, হাসননগরসহ বেশ কিছু এলাকা। সেইসঙ্গে জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে তাহিরপুর উপজেলা। দোয়ারাবাজার উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সুরমা, লক্ষ্মীপুর ও বাংলাবাজারসহ তিন ইউনিয়নের। এক মাসের ব্যবধানে দুইবার সুনামগঞ্জ বন্যা কবলিত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই অঞ্চলের মানুষেরা।
ভুক্তভোগীরা বলেন, কয়েকদিন আগে একদফা বন্যা হয়ে গেলেও এখন আবারো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আমাদের অবস্থা নাজেহাল হয়ে গেছে।
তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা শাহিন মিয়া বলেন, বন্যার পানিতে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। প্রতিনিয়ত পানি বাড়ছে। ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। অনেকেই আবার আশ্রয় কেন্দ্র ছুটার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পৌর শহরের বাসিন্দা নাহিদ আলম বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানিতে আমাদের বেহাল অবস্থা। আমরা এই পানির হাত থেকে রক্ষা চাই।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি কমলে নদীর পানি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, রাতভর নিজে উপস্থিত থেকে পৌর শহরের যে এলাকায় পানি ওঠে সেখানকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিষ্কার করেছি। যাতে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সকল প্রস্তুতি নেওয়া আছে।