জাতির পিতা কখনোই অপচয় পছন্দ করতেন না: ড. কলিমউল্লাহ
সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৬১ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক ও বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য বাবু রণজিৎ মল্লিক।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
সেমিনারে আলোচকবৃন্দ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা নাঈমা ফেরদৌস ও পারভীন আক্তার, জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু, সাদিয়া হালিমা ও শাকিব হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা কখনোই অপচয় পছন্দ করতেন না।
সেমিনারের মুখ্য আলোচক পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাস্তববাদী মানুষ ছিলেন। সমাজ পরিবর্তনকারী মানুষ ছিলেন। ব্রিটিশ আমলে উপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা যে শোষণের সৃষ্টি করেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার আগেই বুঝতে পেরেছিলেন। পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার অর্থনীতি থেকে মানুষকে শোষণ মুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে ব্যবসায়ীরা দেশের শাসনকর্মে হস্তক্ষেপ করত। যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা যে দাবি পেশ করা হয়েছিল তাতে তিন চার পাঁচ আট নয় এবং দশ নম্বর দফায় শিল্প কেন্দ্রিক দফা পেশ করা হয়েছিল। ১৯৫৪-৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের শিল্প মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। সেই সময়ই শিল্পপতিদের সাথে আলাপ আলোচনা করে শিল্প বৃদ্ধিতে নানা বাধা বিপত্তি উন্মোচন করেন। কুটির শিল্প এবং মাঝারি শিল্প গড়ে তুলতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হতো, যা পাকিস্তানের সরকার সঠিকভাবে প্রদান করত না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নানা ধরনের কাজ করেছেন অর্থনৈতিকভাবে দেশকে উন্নত করতে।
সেমিনারের প্রধান অতিথি
পি এইচ ডি গবেষক বাবু রণজিৎ মল্লিক বলেন, আজ পহেলা জুলাই এইদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় ১৯২১ সালে। তিনটি উপাদানে বাংলাদেশ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান -এই তিনটি উপাদানের মাধ্যমে মুক্তির শিখরে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির বিকাশ লাভ করেছে এই উপাদানের মাধ্যমে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপনিবেশিক নেতা , তিনি ভৌগোলিক টেরিটোরির মধ্য থেকে ভেবেছেন। সন্তানদের দেশে লেখাপড়া শিখিয়েছেন এবং যার জন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশের মানুষের স্বার্থকে নিজের স্বার্থ হিসেবে দেখেছেন।
সেমিনারের বিশেষ অতিথি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে অনেকে জাতির পিতা স্বীকৃতি দিতে চায় না। প্রতিবেশী দেশ ভারতে মহাত্মা গান্ধীকে যেমন সার্বজনীনভাবে গ্রহণ করেছে তেমনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সার্বজনীনভাবে গ্রহণ করতে হবে।
সেমিনারে যুক্ত বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা নাঈমা ফেরদৌস বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় সন্দেহাতীতভাবেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উদ্দেশ্য ছিলো তার দেশ ও দেশের মানুষের প্রভূত উন্নয়ন ঘটানো। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একটা সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন, যে সোনার বাংলার উপমা তিনি পেয়েছিলেন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে, তাইতো ভালোবেসে শেখ মুজিব সেই 'সোনার বাংলা'র স্বপ্নকে তার দেশের জাতীয় সংগীত নির্বাচন করেছিলেন।
সেমিনারে উপস্থিত আর এক নারী উদ্যোগক্তা পারভীন আক্তার বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কারণ তিনি জাতির পিতার উন্নয়ন নীতি অনুসরণ করে চলছেন।
জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার মিসেস সাদিয়া হালিমা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শাকিব হোসেন বলেন, জাতির পিতা কখনো কাউকে উপযুক্ত সম্মান দিতে কার্পণ্য করেননি ।
সেমিনারে উপস্থিত জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু বলেন, জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন প্রকৃতি প্রেমিক মানুষ। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড ও জাপানের মতো সুন্দর করে সাজাতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশকে তৈরী করতে চেয়েছিলেন সৌন্দর্যের রাণী রূপে।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।