যত সদর্থক ও গুণবাচক বিশেষণ আছে তা জাতির পিতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য: ড. কলিমউল্লাহ
বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৫৭ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক ও বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য বাবু রণজিৎ মল্লিক।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য শিক্ষক নেত্রী মিসেস সংগীত বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথি বৃন্দ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা নাঈমা পারভীন ও পারভীন আক্তার।
সেমিনারে আলোচকবৃন্দ হিসেবে যুক্ত ছিলেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, যত সদর্থক ও গুণবাচক বিশেষণ আছে তা জাতির পিতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
সেমিনারের মুখ্য আলোচক পি এইচ ডি গবেষক বাবু রণজিৎ মল্লিক প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. রেহমান সোবহান ও প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. রওনাক জাহান এর জাতির পিতা সর্ম্পকে লেখনী থেকে উদধৃতি করেন, যেখানে প্রফেসর রেহমান সোবহান বলেছেন, " In Bangladesh's case, national sovereignty was inculcated into the consciousness of the masses through a deliberate political process. This mass character of consciousness-building provided the underlying strength to the nationalist movement."
অর্থাৎ, "বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, জাতীয় সার্বভৌমত্ব একটি সুচিন্তিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। চেতনা-নির্মাণের এই গণচরিত্র জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে অন্তর্নিহিত শক্তি যোগায়।"
পি এইচ ডি গবেষক বাবু রণজিৎ মল্লিক বলেন, এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সেমিনারের প্রধান অতিথি শিক্ষক নেত্রী মিসেস সংগীতা বিশ্বাস ১৯৭২ সালে জাতির পিতার দেওয়া বেতার ও টেলিভিশন এর ভাষণ থেকে উদধৃতি করেন যেখানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, " শ্মশান বাংলাকে আমরা সোনার বাংলা করে গড়ে তুলতে চাই । সে বাংলায় আগামীদিনের মায়েরা হাসবে, শিশুরা খেলবে। আমরা শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলব।”
সেমিনারের বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা মিস নাঈমা ফেরদৌস তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং কলকাতা থেকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করতে থাকে। তাই একে প্রবাসী সরকারও বলা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এই সরকারের স্থায়ী রাষ্ট্রপতি, যার অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
সেমিনারে উপস্থিত মিসেস
পারভিন আক্তার বলেন, জাতির পিতা নারীদের অনেক সম্মান করতেন। তিনি নারী উদ্যোগক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। একইভাবে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নারী উদ্যোগক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন আর উৎসাহ প্রদান করেন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।