প্রকাশ: বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪, ৪:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছেন, অপরাধীরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, তাদের ধরতে আদালত যথেষ্ট সক্ষম। এটি ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, অপরাধীরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, অন্যায়কারীদের ধরতে আদালতের হাত যথেষ্ট দীর্ঘ।
আদালত অবমাননার দায়ে কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানাকে অব্যাহতির পূর্ণাঙ্গ রায়ে আপিল বিভাগ এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
আপিল বিভাগ বিচারক সোহেল রানাকে কঠোরভাবে ভর্ৎসনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে তিনি যেন আদালত অবমাননার পুনরাবৃত্তি না করেন সে বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে তাকে ক্ষমা করে দেন। আদালত বলেছেন, আমাদের প্রত্যাশা যে, এই ঘটনাটি সব বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য একটি পাঠ হিসেবে কাজ করবে। বিচার বিভাগের মর্যাদা ও কর্তৃত্বকে সর্বদা সম্মান ও সমুন্নত রাখতে হবে।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত অবমাননার দায়ে কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত) মো. সোহেল রানার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাকে সাজা থেকে অব্যাহতি দেন সর্বোচ্চ আদালত।
তার আগে গত ৬ ডিসেম্বর আদালত অবমাননার দায়ে মো. সোহেল রানার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শেষ হয়। তার আগের দিন আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন সোহেল রানা। ক্ষমার আবেদনে তিনি বলেন, আমাকে ক্ষমা করে সাজা থেকে অব্যাহতি দিয়ে একজন ভালো বিচারক হওয়ার সুযোগ দিন।
বিচারকের আদালত অবমাননার প্রেক্ষাপট
মামলার নথি থেকে জানা যায়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামুন চৌধুরী ও রিয়া আক্তার দম্পতির বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা হয়। মামলার কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে মামুন-রিয়া দম্পতির করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। একইসঙ্গে মামলার কার্যক্রম চার মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
২০১৯ সালের ৬ মার্চ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও কুমিল্লার তৎকালীন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা গত ১০ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।