প্রকাশ: শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪, ৬:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজারে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে,কমেছে নদ-নদীর পানি। অতিবর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে বিপর্যস্ত মৌলভীবাজারে দেখা মিলেছে রোদের। টানা বৃষ্টির পর রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। তবে পানিবন্দী সাড়ে তিন লাখ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দিন যতই যাচ্ছে, ভোগান্তিও ততই বাড়ছে। কৃষির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলার সাত উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়নে প্রায় ৩লাখ ৫১হাজার ১২২জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন, এর মধ্যে বন্যার পানিতে বড়লেখায় ১জন ও সদরে ২জন মিলে মোট তিনজন মারা গেছেন। আজ সকাল থেকে মৌলভীবাজারের আকাশ ছিল রোদ ঝলমলে। গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে কোনো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মৌলভীবাজার জেলার নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ধীরগতিতে হলেও পানি নামতে শুরু করছে মনু-ধলাইয়ের। মনু রেলওয়েব্রীজ পয়েন্টে ৩৩৯ সেন্টিমিটার, চাঁদনীঘাটব্রীজ পয়েন্টে ৮২ সেন্টিমিটার এবং ধলাই নদী রেলওয়েব্রীজ পয়েন্টে ৩৮২ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো কুশিয়ারা নদী শেরপুর পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার ও জুড়ী ভভানীপুর ১৯৭ সেন্টিমিটার পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
বৃষ্টি না হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে বন্যাক্রান্ত মানুষের মধ্যে। জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা গুলোতে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাসাবাড়ির পানিও কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও ভোগান্তি বেড়েছে বানবাসী মানুষের, পানি নামার সাথে সাথে দৃশ্যমান হচ্ছে বন্যার ক্ষত। জেলায় মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ধানের বীজতলা, পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে শাক-সবজি ও মুরগির খামারের।
এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে সরকারি বেসরকারি ভাবে অনেকে (ত্রাণ) চাল, চিড়া-মুড়ি, গুড়, বিস্কুট, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, মোমবাতি ও দিয়াশলাই বিতরণ করছেন। বন্যার্থদের জন্য সরকারি ত্রাণ বরাদ্ধ হয়েছে ৮১৫ মে.টন চাল, জিআর (ক্যাশ) ২,৮৭৫০০ টাকা ও ৫শত প্যাকেট শুকনা খাবার, যার মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৫৪৭ মে.টন চাল, জিআর (ক্যাশ)২, ১০হাজার টাকা। মজুদ আছে প্রায় ২৬৮ মে.টন চাল ও জিআর (ক্যাশ) ৭৭, ৫শত টাকা। জিআর ক্যাশ থেকে গো-খাদ্য ও শিশু-খাদ্য ক্রয় করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ড: উর্মি বিনতে সালাম জানান, এমন আবহাওয়া থাকলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবেনা। তিনি বলেন উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও (নির্বাহী কর্মকর্তা)দের নেতৃত্বে ত্রান বিতরন অব্যাহত আছে।