সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: নভেম্বরের ২৩ দিনে এলো ২০ হাজার ৭১৬ কোটি টাকার রেমিট্যান্স   সোহরাওয়ার্দী-কবি নজরুল কলেজে ভাঙচুর, পরীক্ষা স্থগিত   ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা   ডেঙ্গুতে একদিনে বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু, আক্রান্ত ১০৭৯   মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তিতে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব   সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেয়ার সময় বাড়লো   জেদ্দায় চলছে আইপিএলের মেগা নিলাম   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪, ৯:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে উচ্ছ্বাস, ঈদ মানে পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া আর একটু সময় করে পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে কাছে কিংবা দূরে কোথাও ঘুরে বেড়ানো। প্রতি বছরের ন্যায় এবার পবিত্র ঈদুল আযহা'র ছুটির পরেও খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ভিড়। পর্যটকরা ঈদের বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে বেড়াতে ছুটে এসেছেন বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। এবার কোরবানী ঈদে দিনে খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটগুলোগুলোতে ছিল পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়।

খাগড়াছড়ি জেলায় অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্র থাকলেও সবকিছুকে ছাপিয়ে পর্যটকদের অপার আকর্ষণে বদলে যাওয়া আলুটিলার পর্যটন। এ পর্যটনে এ্যাম্ফি থিয়েটার, কুঞ্জ-ছায়া,নন্দন কানন, ব্যতিক্রমী ব্রিজ। এছাড়াও রহস্যময় গুহা ও রিছাং ঝর্ণা পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণী স্থান হিসেবে পরিচিত।

শহরের অদূরে পার্বত্য জেলা পরিষদ পরিচালিত জেলা পরিষদ হটিকালচার পার্ক, ঝুলন্ত সেতু, নয়ানাভিরাম লেক পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এছাড়া খাগড়াছড়িতে দেখার মতো রয়েছে মায়াবিনী লেক, মায়ুং কপাল( হাতিমাথা পাহাড়), মাতাই পুখিরি, তৈদু ছড়া ঝর্ণা, পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্ৰ ও পানছড়ির অরণ্য কুটির। ঘুরতে আসা পর্যটরকরা জানান তারা পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন খাগড়াছড়িতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ঈদের প্রথম দিনে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাহিরের পর্যটকের চেয়ে স্থানীয় পর্যটকের সংখ্যা একটু বেশি। তবে আজ স্থানীয়দের চেয়ে ও বাহিরের পর্যটকদের সংখ্যা একটু বেশি মনে হচ্ছে। হোটেল, মোটেল ও পর্যটন কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিনিধিরা বলছেন, অন্যান্য ঈদের মতো এবারের ঈদের ছুটির দিনগুলোতে জেলার বাইরের পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে।

খাগড়াছড়ি হোটেল গাইরিং এর ম্যানেজার প্রান্ত ত্রিপুরা জানান, ঈদের পর দিন থেকে পর্যটকেরা আসতে শুরু করেছে। আশা করি এই কয়েকদিন পর্যটক বাড়বে। আমাদের হোটেলে অনেকে অগ্রিম রুম বুকিং করে রেখেছে। এবার পর্যটকদের আগমন সন্তোষজনক।

খাগড়াছড়ি হোটেল ব্যবসায়ী সমিতি'র সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া জানান, অন্যান্য ঈদের চেয়ে এবারের ঈদে বাইরের পর্যটকের সংখ্যা কম। বাইরের পর্যটকদের চেয়ে স্থানীয় পর্যটকদের সংখ্যা বেশি। আমরা এবার বাইরের পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড়েরও ব্যবস্থা করেছি।

খুলনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন,আমরা বিভিন্ন মাধ্যম বিশেষ করে ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খাগড়াছড়ির সৌন্দর্য দেখি। এবারই প্রথম পরিবারকে নিয়ে এসেছি। অসাধারণ একটা জায়গা। সত্যি এ সমস্ত দৃশ্য দেখলে প্রাণ জুড়ে যায়।

কুমিল্লা থেকে কয়েকজন পর্যটক বলেন, বর্তমানে খাগড়াছড়ি এখন একটি পর্যটন নগরী শহর, ভবিষ্যতে খাগড়াছড়িতে যেন আরো বহু পর্যটকের আগমন ঘটে এর সৌন্দর্য বর্ধনের প্রশাসন আরো কাজ করবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন তারা।

আজ সকালেও আলুটিলায় পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। সেখানে আলাপ হয়,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একঝাঁক শিক্ষার্থীদের সাথে। আলাপকালে তাঁরা  বলেন,অনেকদিন আগে আমরা বন্ধুরা মিলে পরিকল্পনা করি। খাগড়াছড়ি পাহাড়ের সৌন্দর্য্য আর সাজেক পাহাড়ের মেঘ দেখবো। পরিকল্পনা অনুযায়ী এবার ঈদের রাতে আমরা ২০ জন বন্ধু মিলে দুইদিনের সফরে খাগড়াছড়ি ও সাজেক  ঘুরতে এসেছি। সাজেক থেকে ফিরে এখন খাগড়াছড়ির দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখতেছি। অসাধারণ ভিউ,অন্যরকম অনুভূতি। ভালই লাগছে। সুযোগ পেলেই  এই পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য বারবার ছুটে আসবো। 

আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের টিকেট কাউন্টার ম্যানেজার কোকোনাথ ত্রিপুরা বলেন,ঈদের প্রথম দিনের চেয়ে আজকে পর্যটক বাড়ছে। ঈদের প্রথম দিনে স্থানীয় লোকজন ছাড়া বাইরের পর্যটক তেমন ছিলো না। তবে আজ সকাল থেকে পর্যটকের আনা-গোনা অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি মনে হচ্ছে। আজ সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি টিকেট বিক্রি হয়েছে। এই কয়েকদিন পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশা করছেন তিনি।

পর্যটকদের আগমনে সন্তোষ প্রকাশ করেছে খাগড়াছড়ির রেস্তোরাঁ মালিকেরা। হেরিটেজ ডাইনের মালিক চিং ওয়েং চৌধুরী   জানান,তাঁদের রেস্টুরেন্টে আজ থেকে আগামী শুক্র ও শনিবার পর্যন্ত খাবারের অর্ডার করা আছে। অন্যান্য দিনের চেয়ে এবার পর্যটকদের আনাগোনা মোটামুটি মনে হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি হর্টিকালচার পার্ক,আলুটিলা পর্যটনে টেক্সাটাইল ও হ্যান্ডি ক্রাফটের কর্মরত বিক্রয়কর্মী গীতা চাকমা ও  সুমিতা ত্রিপুরা বলেন, পর্যটকেরা আসায় বিক্রি বেড়েছে। দৈনিক গড়ে ১৫হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে খাগড়াছড়ি শহরস্থ মাধুরী টেক্সটাইলের বিক্রয়কর্মী জরিতা ত্রিপুরা বলেন,এই ঈদে পর্যটকেরা বেশির ভাগই পর্যটনমুখী হওয়ায়, শহরের আমাদের স্টলগুলোতে তেমন বেঁচা-বিক্রি নেই। আমাদের এখানে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পর্যটকেরা কমই আসছে।

খাগড়াছড়ি টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান ইকবাল চৌধুরী জানান,আজ থেকে ২২জুন পর্যন্ত এ জেলায় পর্যটকদের বেশি আগমন ঘটবে। জেলার প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের টিম নিরলসভাবে কাজ করছে। বাইরের পর্যটক ও স্থানীয় পর্যটকরা যেন নিরাপদে ঘুরতে পারেন, সেইসাথে তারা যেন নিরাপদে ফিরে যেতে পারেন এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পলিশ সবসময় সজাগ রয়েছে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]