প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কুয়াকাটার কালো মানিক। এই গরুটির ওজন ২৭ মন। প্রায় তিন বছর যাবৎ লালন পালন করে কোরবানিতে বিক্রির জন্য এটি প্রস্তুত করেছেন এক শিক্ষার্থী। বর্তমানে বিশাল দেহের এই গরুটি দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করছে শত শত উৎসুক জনতা।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বানী। তিন বছর আগে তার পিতা নাসির মৃধা ৯০ হাজার টাকায় একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু কিনে দেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি রাব্বানী এই গরুটি লালন-পালন করেন। শান্ত স্বভাবের হওয়ায় শখের বসে গরুটির নাম রাখেন কুয়াকাটার কালো মানিক। ৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪ ফুট উচ্চতার এই ষাড়টির ওজন এখন ২৭ মন। শুধুমাত্র খড়, কুটো, ভূসি ও ভূট্টা খাওয়ানোর পাশাপাশি সঠিক পরিচর্চায় ষাড়টি আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে বলে দাবি রাব্বানির। এসএসসি পরীক্ষায় (৩.৪৪) ভালো রেজাল্টের পাশাপাশি ষাড়টি বিক্রির জন্য প্রস্তুত করতে পেরে অনেকটা উচ্ছসিত সে। গোলাম রাব্বানীর বাবা নাসির মৃধা কালো ও সাদা বর্নের কালো মানিকের দাম হাঁকছেন ১০ লাখ টাকা। সঙ্গে একটি ১০ কেজির খাসিও ফ্রি দেওয়ার ঘোষনা দেন তিনি। এদিকে প্রতিনিয়ত এই ষাড়টি দেখতে তাদের বাড়িতে ভীড় জমায় উৎসুক জনতা। লেখাপড়া পড়ার পাশাপাশি গরু পালনে সফলতা পাওয়ায় তাকে বাহবা দিচ্ছেন সবাই। এর আগে এতো বড় গরু আর দেখেননি বলে জানান স্থানীয়রা।
গোলাম রাব্বানীর প্রতিবেশী তানভীর মিয়া জানান, গোলাম রাব্বানী লেখাপড়ার পাশাপাশি এই ষাড়টি লালন পালন করেছেন। বেশ পরিশ্রম হয়েছে তার। আমরা প্রায়ই গরুটি দেখতে তার বাড়িতে যাই। অপর প্রতিবেশী আলম মৃধা জানান, একটি এই উপজেলার সবচেয়ে বেশি ওজনের গরু। এতো বড় গরু আমরা আর কখনো দেখিনি। গোলাম রাব্বানিকে ধন্যবাদ জানাই। কারন সে এবার এসএসি পরীক্ষাও ভালো রেজাল্ট করেছে। পাশাপাশি গরু পালনেও সফলতা পেয়েছে।
গোলাম রাব্বানী জানান, তিন বছর আগে বাবা আমাকে গরু কিনে দিয়ে লালন পালন করতে বলেন। এটি এতো বড় করতে পারবো সেটাও ভাবিনি। একেবারে একজন শিশুর মতো গরুটি লালন পালন করেছি। তবে লেখাপড়ার পাশাপাশি গরু পালনে সফলতা পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এখন বিক্রি করতে পারলেই হলো।
গোলাম রাব্বানির পিতা নাসির মৃধা জানান, এই গরুটি আমার ছোট ছেলে রাব্বানী লালন পালন করেছে। আমরা এখন এটার দাম চাচ্ছি ১০ লাখ টাকা। এই দামে বিক্রি করতে পারলে ১০ কেজির একটি খাশি ফ্রি দিবো।
কলাপাড়া উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. জামাল হোসেন জানান, কলাপাড়ায় কোরবানীর চাহিদার চেয়েও বেশি প্রায় ২২ হাজার গরু ছাগল প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে গোলাম রাব্বানীর গরুটিই সবচেয়ে বড় গরু। গোলাম রাব্বানীসহ উপজেলার সকল গরু খামরীদের পরামর্শ এবং সকল ধরনের সহায়তা করা হয়েছে।