প্রকাশ: সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪, ৬:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
একজন খেলোয়াড়ের কাছে খেলার মাঠে নিজেকে উজাড় করে দেবার চাইতে আনন্দের বোধহয় আর কিছুই হতে পারে না। আর সেটা যদি বিশ্বকাপের খেলা হয় তাহলে তো কথাই নেই।
তবে সেই মানসিক অবস্থায় পৌঁছানোটা কিন্তু একটা বড় চ্যালেঞ্জ। শ্রীলংকা ম্যাচের আগ পর্যন্ত সেই চ্যালেঞ্জেরই মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। এক অসহনীয় গুমোট মানসিক অবস্থা থেকে বাংলাদেশ দলের উত্তরণ ঘটেছে শ্রীলংকার সাথে প্রথম ম্যাচ জয়ের মধ্য দিয়ে।
এখন নিশ্চয়ই বিশ্বকাপ অনেক উপভোগ্য হয়ে উঠেছে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য। এই ইতিবাচক মানসিকতাই বাংলাদেশের সবচাইতে বড় শক্তির জায়গা এখন। তবে এর অর্থ কিন্তু এই নয় যে আমাদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। এর অর্থ এই যে মাঠে কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলে আমরা মুষড়ে পড়বো না বরং সাহসী হয়ে যে কোন সমস্যার যৌক্তিক সমাধান খোঁজার চেষ্টা করব।
সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আজকের খেলায় এটিই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। আজ একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামর উপায় নেই। যে কোন মুহূর্তে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে, মোমেন্টাম হাতছাড়া হতে পারে। এর সাথে তাল মেলাতে হবে আজ। আজ ডিসিপ্লিনড থাকার দিন, বিশেষ করে বোলিংয়ে। ম্যাচের চড়াই উতরায়ের সাথে সাথে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার দিন আজ।
মনে পড়ে, ২০১৮ তে এই দিনে ভারতকে হারিয়ে নারী ক্রিকেটে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম আমরা। সাধারণ একটি দলের অসাধারণ মানসিক শক্তির প্রতিচ্ছবি ছিল সেই জয়। আশা করি, ছেলেরাও মানসিক শক্তির এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রাঙিয়ে তুলবে আজকের দিনটিকে।
দলের জন্য শুভকামনা!
(লেখাটি বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদিন ফাহিম এর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেওয়া)