প্রকাশ: রোববার, ৯ জুন, ২০২৪, ১:০২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং বিশিষ্ট্য তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশকে সার্বজনীন শিক্ষায় এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কুদরত ই খোদা কমিশন প্রবর্তন করেছিলেন। আজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন কারিকুলাম প্রবর্তনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এত বড় এবং সুদূর প্রসারী শিক্ষা বাস্তবায়নে সকলের সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন।
শনিবার (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর ‘মিরপুর ইংলিশ ভার্সন স্কুল এন্ড কলেজ’ এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘নতুন কারিকুলাম উপকরণ প্রদর্শনী ও ডিজিটাল শিক্ষা মেলা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মিরপুর ইংলিশ ভার্সন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ইয়াহিয়া খান রিজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বিজয় ডিজিটালের সিইও জেসমিন জুই, মিরপুর থানা শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক) আব্দুল কাদের ফকির, সম্মানিত অতিথি নতুন কারিকুলাম মাস্টার ট্রেইনার ও গণিত লেখক মনসুর সরকার, মধু বেপারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর আব্দুল মালেকসহ বৃহত্তর মিরপুর এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গৃহীত নতুন কারিকুলাম সফলভাবে বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা, পরামর্শের পাশাপাশি পাঠ্যক্রম,শিক্ষণ-শিখন কৌশল,মূল্যায়নপদ্ধতি,পাঠ্যের বিষয়বস্তুসহ প্রয়োজনীয় বিষয়াদি নিয়ে আলোচকবৃন্দ অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, একটি কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রমের অনেকগুলো স্থান-কাল নিরপেক্ষ তাত্ত্বিক ও দার্শনিক দিক থাকে। সেইসব দিক গবেষণার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট করে দেশের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এনেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন কারিকুলাম চূড়ান্ত করেছে। গতানুগতিক শিক্ষা ধারা থেকে বের হয়ে আসা ও অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা, বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে শেখার জন্য নতুন্ এই কারিকুলাম অনেক যুগোপযোগী একটি রূপরেখা।
ইতোমধ্যে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।২০২৩ সালে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে, চলতি ২০২৪ সালে দ্বিতীয়,তৃতীয়,অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে, ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন কার্যক্রম।