প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ১১:৩১ এএম | অনলাইন সংস্করণ
গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার বেশ কিছু মেডিকেল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিমান হামলা চালানোর পরে ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে।
গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াফা বলেছে, বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এছাড়া হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের দক্ষিণ অংশে একটি তিনতলা বাড়িতে ইসরায়েল ওই বিমান হামলা চালায়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৮ হাজার ৮২৭ জন।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী পূর্ণ মাত্রার স্থল অভিযান চালালেও হামাসকে নির্মূল করা সম্ভব হবে না। বরং তা হামাসকে একত্রিত হতে ও পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে। রোববার (১২ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরায়েল এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যা হামাসের বাকি সদস্যদের পুনঃসংঠিত হতে সাহায্য করবে। আবার ইসরায়েলি বাহিনী যদি রাফা শহর ছেড়ে চলে যায়, তাহলে হামাস আবারও এই এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে নেবে। আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে ইসরায়েলকে এখন ‘গাজা থেকে বেরিয়ে আসা’ দরকার।