রোববার ১৯ মে ২০২৪ ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শিরোনাম: নাইট রাইডার্স পরিবারে ফিরছেন সাকিব    টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব : সাঈদ খোকন    ইসরায়েলগামী অস্ত্রের জাহাজকে নোঙর করার অনুমতি দিল না স্পেন    সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন ডোনাল্ড লু : পররাষ্ট্রমন্ত্রী    পুলিশ আইন-শৃঙ্খলার রক্ষার যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত    ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছ স্টেডিয়াম, সিরিজ নিয়ে শঙ্কা     কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে, এটি মিথ্যা প্রচার : ডেপুটি গভর্নর   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
ক্রমেই নিঃশেষ হচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানি
#জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে বৃষ্টিও হচ্ছে অনিয়মিত #মহাসংকটে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের জীবনযাত্রা #ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে আইনের বাধ্যবাধকতা জরুরি
আরিফুর রহমান
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৭:৪০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ক্রমেই নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানি। স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। সারাদেশের চিত্র প্রায় একই। আর রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চিত্র আরও ভয়াবহ। ঢাকা শহরে পানির স্তর প্রতিবছর ২ থেকে ৩ মিটার (৭ ফুট থেকে ১০ ফুট) নিচে নেমে যাচ্ছে। আর চট্টগ্রাম শহরে এই হার ৩ মিটার (১০ থেকে ১১ ফুট) পর্যন্ত। এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলও মহাসংকটে। উত্তরাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির অত্যধিক ব্যবহার এবং ভূগর্ভে পানির প্রবেশ ব্যাহত হওয়ায় পানির স্তর ক্রমেই নিচে নামছে। অনেক এলাকায় নলকূপে পানি উঠছে না। বিপুলসংখ্যক গভীর নলকূপ দিয়ে মাটির নিচ থেকে দিন-রাত অবিরাম পানি তোলা হচ্ছে। অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চলেও স্বাদু বা মিঠা পানির অভাব ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। 

মানুষ বাধ্য হয়ে ক্ষতিকর পর্যায়ে থাকা নোনা পানি পান করছে। ভূগর্ভেও নোনা পানির অনুপ্রবেশ বাড়ছে। ফসল, উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের ওপর তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি লবণ শরীরে প্রবেশ করায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। বিশেষজ্ঞরা ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামার কারণ হিসেবে পরিবেশ বিপর্যয়কে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, জলবায়ুর পরিবর্তন, সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি, ইত্যাদির বিরূপ প্রভাবের পানিচক্র বাণিজ্যিক এলাকা বৃষ্টিপাত নদী বাষ্পীভবন আবাসিক এলাকা লেক শিল্প-কারখানা কৃষিজমি বাষ্পীভবন মাটির উপরিভাগ পানিপ্রবাহ নদী বালির স্তর।

উপরের জলাধার কারণেই দেশে পানির সমস্যা ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠেছে। জলবায়ুর প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের একুশ শতাংশের বেশি ভূমি পানির নিচে স্থায়ীভাবে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঢাকা ওয়াসাসহ সকল নগরীতে ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নদী বা জলাশয়ের পানি ব্যবহারের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে স্বল্প মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদি মাস্টার প্লান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন বলে মত দেন তারা। 

এ বিষয়ে পরিবেশবিদ ও দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্রীপতি সিকদার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, একটা সময় ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার এত পরিমাণে ছিল না। সেচকাজের জন্য পানি পাওয়া যেত খাল-বিল আর নদী-নালা থেকে। এখন তা পাওয়া যায় না। কৃষিকাজ বেড়েছে। সেচ ছাড়া কৃষি চিন্তাই করা যায় না। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিও হয়েছে অনিয়মিত। গাছপালা কমেছে, পানির গভীর স্তর ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ অসীম না। তাপমাত্রা বেড়েছে। সব ঠিকঠাকমতো না হওয়ায় পানির প্রাপ্যতা কমে গেছে। একই কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যেখান থেকে ভূগর্ভস্থ পানি তোলা হয়, তখন সে জায়গা ফাঁকা হয়ে যায়।  ওপর থেকে পানি পড়ে, অর্থাৎ বৃষ্টির পানিতে ফাঁকা জায়গাটা পূরণ হয়ে যায়। এ ব্যবস্থায় যদি অসামঞ্জস্য দেখা দেয়, অর্থাৎ বেশি পানি তোলা হয় আর কম পানি জমা হয়, সে ক্ষেত্রে পানির স্তর নিচে নেমে যায়। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার যথাসম্ভব কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করা জরুরি জানিয়ে এই পরিবেশবিদ বলেন, কৃষিকাজে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়িয়ে শুধু পানীয় পানি ভূগর্ভ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। খাল-বিল, নদী-নালা, জলাশয়গুলো দখল নয়, বরং সংস্কার করে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের বিষয়ে আইনের বাধ্যবাধকতা জরুরি।

জাতিসংঘের চালানো এক সমীক্ষা হতে দেখা যায়, অধিক পরিমাণ ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনে শীর্ষে থাকা দেশের তালিকায় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ১০টি দেশ স্থান পেয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং গবেষকরা বেশ কয়েক দশক পূর্বেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় শঙ্কার কালোমেঘ হিসেবে প্রতীয়মাণ হচ্ছে সবার মাঝে। রাজধানী ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের পরিসংখ্যান বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৯৯৬ সালে ঢাকায় পানির স্তর ছিল ২৫ মিটার, যা পরবর্তীতে ২০০৫ সালে ৪৫ মিটার নিচে নামে, ২০১০ সালে ৬০ মিটার ও সর্বশেষ ২০২৩ সালে এসে যা ৭৫ মিটার নিচে নেমে গেছে। ২০৫০ সালের দিকে যা আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে এবং ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১২০ মিটারে নেমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, দেশে কৃষিকাজে প্রায় ১৮ লাখ টিউবওয়েল ব্যবহার করা হয়। গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ও নগরকেন্দ্রিক মানুষের জন্য সারাদেশে প্রায় ১৩ লাখ টিউবওয়েল স্থাপন করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। এর বাইরে যেসব অগভীর নলকূপ ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে ৫৫ শতাংশ অচল অর্থাৎ পানি পাওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকেও।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে বলেন, ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতিবছর ২ থেকে ৩ মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম শহরে এই হার ৩ মিটার পর্যন্ত। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ঢাকা শহরের গড় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর এলাকাভেদে ৩৮ মিটার থেকে ৮২ মি আর চট্টগ্রাম শহরে বর্তমানে গড় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১০০ মিটার নিচে। বর্তমানে ঢাকা শহরে ৬৬ শতাংশ ভূ-গর্ভস্থ এবং ৩৪ শতাংশ ভূ-উপরিস্থ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। বক্তব্যে তিনি এই সংকট থেকে পরিত্রাণের উপায় নিয়েও কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে রাজধানীতে ভূ-গর্ভস্থ পানির উৎসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূপৃষ্ঠস্থ উৎসের ওপর নির্ভরতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বৃহৎ ৩টি পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে যে, ২০২৫ সালের মধ্যে ৭০ ভাগ ভূপৃষ্ঠস্থ পানি আর ৩০ ভাগ ভূগর্ভস্থ পানির উৎসের ওপর নির্ভরতা নিশ্চিত করে ঢাকাবাসীর মধ্যে পানি সরবরাহ করা হবে। এর ফলে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জন সম্ভব হবে। 



ভয়াবহ বিপর্যয়ে ঢাকা: ঢাকাবাসীর প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে নেমে যাচ্ছে পানির স্তর। নগরীর প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ বাসিন্দার ঘরে ও শিল্প-কারখানায় সরবরাহ করা প্রায় ৭০ শতাংশ পানি উত্তোলন করতে হচ্ছে মাটির নিচ থেকে। শুধু ঢাকা ওয়াসাই প্রতিদিন প্রায় ৩৩ লাখ ঘনমিটার ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে, যা দিয়ে মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আকারের অন্তত ২০টি স্টেডিয়াম পূর্ণ করা সম্ভব। 

ভূগর্ভস্থ পানি বিশেষজ্ঞ ড. আনোয়ার জাহিদ বলেন, ঢাকার মাটির নিচে একটি বড় বিপর্যয় তৈরি হচ্ছে। মাটির নিচে হচ্ছে বলে আমরা সেটা দেখতে পাচ্ছি না। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা বিপর্যয়ের ধারণাই পাচ্ছি। পাউবোর এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ১৯৭০ সালেও ঢাকা শহরে ৬ মিটার বা প্রায় ২০ ফুট মাটির নিচেই পানি পাওয়া যেত। অথচ, ২০২৩ সালে ৭৩ মিটার বা প্রায় ২৪০ ফুটের আগে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকার কেন্দ্রে ভূগর্ভস্থ পানি স্তর নেমে যাওয়ায় একটি শূন্যস্থান চিহ্নিত করেছেন ভূবিজ্ঞানীরা। ভূতত্ত্বের ভাষায় যাকে বলে ‘কম্পাউন্ড কোন অব ডিপ্রেশন’। এই কম্পাউন্ড কোন অব ডিপ্রেশন’র বিস্তার ঢাকার কেন্দ্র থেকে আশেপাশের উপজেলা, যেমন: টঙ্গী, সাভার, ধামরাই, দোহার ও নবাবগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এ অবস্থায় ভূমিধসের আশঙ্কা তৈরি হওয়ার কথা থাকলেও আশার ব্যাপার হলো, বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশের ভূগর্ভের বালির স্তরের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে তা এখন পর্যন্ত বিপর্যয় ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ভূগর্ভস্থ জলাধারের উপরের অংশের পুরু পলির স্তর বালির কণা পুনর্গঠন ও কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত পানির পরিমাণ কমে যাওয়ার চাপ সামলে নিতে পারছে।

কিন্তু ভূগর্ভস্থ পানি বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, যখন ওয়াসা এবং অন্যান্যরা গভীর নলকূপের সাহায্যে ৩০০ মিটার বা ৯৮৪ ফুট গভীর থেকে পানি উত্তোলন করতে শুরু করবে তা হবে অপূরণীয় ক্ষতির কারণ। বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকলে কয়েক দশকের মধ্যেই মিঠা পানির শূন্যতায় পড়তে পারে ঢাকা এবং এখানে জাকার্তার মতো পরিস্থিতি হতে পারে। ভূগর্ভস্থ পানির অনিয়ন্ত্রিত উত্তোলনের ফলে জাকার্তা এখন বিশ্বের দ্রুততম ডুবন্ত মহানগর হিসেবে বিবেচিত। এমনকি ক্রমাগত ভূগর্ভস্থ পানির উত্তোলনের ফলে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীর এক-তৃতীয়াংশ ২০৫০ সালের মধ্যে ডুবে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কাজী মতিন আহমেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কাদামাটির স্তরগুলো বালির স্তরগুলোর ঠিক বিপরীত আচরণ করে। কাদার স্তরে (যার পুরুত্ব ৬০ ফুট পর্যন্ত) কোনো অব ডিপ্রেশন তৈরি হলে ভূমিধস হতে পারে এবং ভূগর্ভস্থ পানির রিজার্ভ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ অসীম না। সরকারকে অবশ্যই জাতীয় অগ্রাধিকার বিবেচনায় এর ব্যবস্থাপনা করতে হবে এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]