বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী মধুবালা। গেল কয়েক বছর ধরে এ শিল্পীর বায়োপিক নির্মাণ নিয়ে চলছে নানা জটিলতা।
মধুবালার বায়োপিক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলিউডের গুণী নির্মাতা ইমতিয়াজ আলী। মধুবালার বোন মধুর ব্রিজ ভূষণ এ নির্মাতাকে এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দিয়েছিলেন। তাই তাকে নিয়ে বায়োপিক নির্মাণে কোনো আইনগত বাধা ছিল না।
কিন্তু মধুবালার আরেক বোন কানিজ বুলসারা এনওসি না দেওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়। তবে সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে মধুবালার বায়োপিক নির্মাণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) পরিচালক জসমিত কে রিন তার ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে মধুবালার বায়োপিক নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। কারণ সিনেমাটি তিনিই নির্মাণ করবেন।
এ পোস্টে এই পরিচালক লেখেন, চমৎকার কিছু মানুষের সঙ্গে নতুন এই যাত্রা শুরু করতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। কৃতজ্ঞতা।
জসমিত কে রিন এ ঘোষণায় জানান, মধুবালার বায়োপিকটি প্রযোজনা করবে সনি পিকচার্স ইন্টারন্যাল প্রোডাকশন্স, ব্রিউইং থটস প্রাইভেট লিমিটেড এবং মধুবালার বোন মধুর ব্রিজ ভূষণ ‘মধুবালা ভেঞ্চার্স প্রাইভেট লিমিটেড’র ব্যানারে সহ-প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন। পাশাপাশি সনি পিকচার্স ইন্টারন্যাশনাল প্রোডাকশন্সের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকেও একই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মধুবালার বায়োপিকে নাম ভূমিকায় কে অভিনয় করবেন তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। এ তালিকায় উঠে এসেছে বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেত্রীর নাম। এ তালিকায় রয়েছেন কারিনা কাপুর খান, প্রিয়াঙ্কা কাঁদওয়াল, ইয়ামি গৌতম, অনন্যা পাণ্ডে, কৃতি শ্যানন।
পরিচালক-প্রযোজকের নাম ঘোষণা করলেও নাম ভূমিকায় কে অভিনয় করবেন তা জানাননি সংশ্লিষ্টরা। তবে টাইমস অব ইন্ডিয়ার দাবি, মধুবালা চরিত্র রূপায়ন করবেন কৃতি শ্যানন। কিন্তু এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি।
খুব অল্প বয়সে অভিনয় জীবনে পা রাখেন মধুবালা। ১৯৪২ সালে বসন্ত চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে নীলকমল সিনেমায় নায়িকা চরিত্রে পর্দায় হাজির হন। এ সিনেমায় বেগম পারা এবং রাজ কাপুরও ছিলেন। তার পরের গল্প কারো অজানা নয়। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
মধুবালা অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- আমার, মহল, বাদল, তারানা, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস, চলতি কা নাম গাড়ি, হাফ টিকিট, হাওড়া ব্রিজ, কালা পানি, বারসাত কি রাত প্রভৃতি।
ভোরের পাতা/আরএস