চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বেলেপুকুর মহল্লার নি¤œমধ্যবৃত্ত পরিবারের মেধাবি শিক্ষার্থী শামিয়া আক্তার বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভারতের ব্যঙ্গালোরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঈদের পরেই তার তার অপারেশনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
শামিয়ার মা সেলিনা আক্তার জানান, ঈদের এক সপ্তাহ পরেই অপারেশনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চিকিৎসকররা অপারেশনের জন্য প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা সংগ্রহ করতে বলেছিলেন। নিজেদের সহায় সম্বল সবকিছ্ ুদিয়েই চেষ্টা করছি মেয়েটার চিকিৎসার, অনেকেই পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, সবার সহযোগিতা নিয়েই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এ অপারেশনটা যেন সুন্দরভাবে সম্পূর্ন হয়,সেজন্য সবার কাছে আমাদের মেয়ের জন্য দোয়া চাই, সেই সাথে সবার সহযোগিতাও কামনা করছি।
শামিয়া আক্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বেলেপুকুর এলাকার মোঃ তোফিকুল ইসলাম ও মাতা সেলিনা বেগমের ছোট সন্তান। ৫ম শ্রেনীতে পড়া অবস্থাই মরন ব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কলার বোর্ন এর নিচের হাড় ভেঙ্গে যায়। পরবর্তী তার মা রাজশাহী ও ঢাকায় চিকিৎসা করে সাময়িক পরিত্রান পেলেও তারা জানত না তার আদরের ফুট ফুটে সন্তানটি মরনব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। চলতি বছর নবাবগঞ্জ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তার শিক্ষক ও সহপাঠিরা বুঝতে পারে হাত, পা ফুলে যাওয়া প্রচন্ড ব্যথায় আক্রান্ত হয়। এমতাবস্থায় তার পরিবার রাজশাহী মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে ডাক্তার ক্যান্সার সনাক্ত করে। পরবর্তীতে তার পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মহাখালির জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা করেন। তার অবস্থা দিনে দিনে আরও খারাপ পর্যায়ে যাওয়ায় তার মা নিজস্ব সম্পদ বিক্রি ও আত্মীয় স্বজনের কাছে টাকা ধার করে গত ৭ মার্চ ভারতের ব্যঙ্গালোরে মজুমদার ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি করান।
শামিয়ার বড় বোন নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজের এইচ এস সি ১ম বর্ষের ছাত্রী আজিজা খাতুন জানান, ইতি মধ্যে তার ৩ বার কেমো থেরাপি দেয়ায় সে ভিষন দুর্বোল হয়েছে, অর্থের অভাবে তার বোনের চিকিৎসা হবে না একথা বলতেই মুঠো ফোনে কেঁদে ফেলে শামিয়ার বড় বোন আজিজা।
শামিয়ার প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজলুর রহমান জানান, শামিয়া খুব মেধাবি ও চ ল প্রকৃতির পাশাপাশি গান বাজনা ও খেলা ধুলায় পারদর্শী ছিল। তিনি আরও বলেন পিতা হারা শামিয়ার মরনব্যধি ক্যান্সার এ অসহায় পরিবারটিকে আরও নিঃস করে ফেলেছে। অর্থ সংকটে একদিন দেখা যাবে আমার প্রিয় ছাত্রীর অকাল মৃত্যু।
শামিয়ার প্রতিবেশী চাচা আপেল মাহমুদ জানান,বাবার আবর্তমানে তাদের মা দুই মেয়েকে নিয়ে কোন রকমে সংসার চালাতেন, তাদের নানাও মারা যাওয়ায় পরিবারটি বেশ অসহায় অবস্থায় ছিলো। তার উপর ক্যান্সারের মত রোগের কারনে পরিবারটি যেন মহা বিপদেই পড়ে গেছে। এখন আমাদের সবার সহযোগিতায় পারে মেয়েটির সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে ও পরিবারটিকে বিপদ থেকে দূর করতে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাঁপাই দৃষ্টি পত্রিকার সম্পাদক ইমরান ফারুক মাসুমও সাংবাদিক সহ সামাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সেই সাথে তিনি নিজে সামিয়ার চিকিৎসার জন্য পাঁচ হাজার টাকা পরিবারটির কাছে পৌচ্ছে দেন।
শামিয়ার মা সেলিনা আক্তার মুঠো ফোনে জানান, এপর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য যে সমস্ত ব্যক্তি বর্গ সহায়তা করেছেন তাদের কছে আমি ঋণী হয়ে থাকলাম। শামিয়ার জন্য দোয়া ও সহায়তার আকুল আবেদন করছি। বিকাশ নং- ০১৭৯৭৭২১৪০৮। অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড খামার শাখা, মোসাঃ সেলিনা আক্তার একাউন্ট নং- ০২০০০১৬২৭০৭৫৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।