প্রকাশ: সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩, ১০:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আগামী ২২ মার্চ ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন’ মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে। এদিন ২৩০ জন গৃহহীন ও ভূমিহীনকে জমিসহ ঘরের চাবি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এই ঘোষণা দেয়া হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭৫টি, গোমস্তাপুরে ৭৫টি ও নাচোল উপজেলায় ৮০টি পরিবার রয়েছে। মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর এ নিদের্শনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদর উপজেলাকে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন’ মুক্ত ঘোষণা করার লক্ষে সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রওশন আলী জানান, সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের হায়ফত বিশ্বাসেরটোলা ও বাবুডাইংয়ে নির্মিত ৭৫ টি ঘর নির্মিত হয়েছে। ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ মান সম্মত।
তিনি জানান, আগামীকাল ২২ মার্চ বুধবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি অন্যান্য জেলার ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪র্থ পর্যায়ে ৭৫টি ঘর উদ্বোধন করবেন। সদর উপজেলায় সবমিলিয়ে উপহারের ঘরের সংখ্যা ৭৮৪টি। উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমিসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে। জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ে এ জেলার ৫টি উপজেলায় ১ হাজার ৩১৯ টি, ২য় পর্যায়ে ২ হাজার ৬১৯ টি ও ৩য় পর্যায়ে ৬৫১ টি পরিবারের অনুকূলে গৃহগুলো হস্তান্তর করা হয়। ৪র্থ পর্যায়ে জেলায় ২৩০টি ঘরসহ সর্বমোট ৪ হাজার ৮১৯ টি গৃহ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেণির পরিবার ঘর। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনানুযায়ী গৃহগুলো নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপকারভোগী পরিবারের অনুকূলে ২ শতাংশ করে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান এবং কবুলিয়ত দলিল ও নামজারি প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হয়েছে। ৫ উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নিকট হতে প্রাপ্ত প্রস্তাবপত্র, উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি ও যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুনর্বাসনযোগ্য আর কোন পরিবার না থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন।
এদিকে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রীর ঘর পাচ্ছেন তারা আগে অনেকটা যাযাবরের মতো ছিলেন। ঘর দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সরকারের পক্ষ থেকে স্বাবলম্বী হওয়ারও সুযোগ দেওয়া হবে। ঘরের বাসিন্দারা এখানে হাঁস-মুরগি পালনসহ সবজি চাষেরও সুযোগ পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে এ পরিবারগুলোর জীবন বদলে যাচ্ছে।