শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শিরোনাম: র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র : ভেদান্ত প্যাটেল    জনগণের উন্নয়ন দেখে বিএনপির সহ্য হচ্ছে না : আইনমন্ত্রী    বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর    কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ৫    শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ    মালয়েশিয়ান শ্রমবাজারে জনশক্তি পাঠানো বন্ধ হবে না     নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের বিশ্বাস জন্মেছে : ইসি    
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
গাড়ি আমদানিতে শুল্ককর অব্যাহতি চায় বারভিডা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১০:৪২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জ্বালানি-সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ির। ২০৩০ সাল নাগাদ মোটরযানে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমে আসার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও ইলেকট্রিক গাড়ির (ইভি) গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস ইমপোটার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। সেজন্য আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি আমদানিতে শুল্ককর অব্যাহতির প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।

এছাড়া বারভিডার পক্ষ থেকে আরও গুচ্ছ প্রস্তাব মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের কাছে জমা দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে মো. হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, ডলার সংকটের কারণে এলসি খোলা যাচ্ছে না। এতে রিকন্ডিশন গাড়ি ব্যবসায়ে ধ্স নেমেছে। আগামী বাজেটে সংশ্লিষ্টখাতের ব্যবসায়ীদের দাবি বিবেচনা করা না হলে এ খাতে লোকসান আরও বাড়বে। এনবিআর বিষয়গুলো বিবেচনা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, যান্ত্রিক পরিবহনের দূষণ থেকে সবুজ প্রকৃতির নির্মলতাকে রক্ষা করার জন্য দুনিয়াব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানিবিহীন (ফসিল ফুয়েল) মোটরযানের উৎপাদন, প্রযুক্তি ও ব্যবহার নিয়ে গবেষণা জোরাল হয়ে উঠেছে। সড়ক মহাসড়কে সূর্যের আলো ঢেকে দেয় যে কালো ধোঁয়া, যেখান থেকে ব্ল্যাক কার্বনের ন্যায় বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান নির্গত হয়ে বাতাসে দীর্ঘ সময় জুড়ে প্রবাহমান থাকে এবং এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী বাংলাদেশে এর পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ১০-১২ মাইক্রোগ্রাম। অথচ ইউরোপ আমেরিকাসহ পরিবেশ সুরক্ষায় সক্রিয় রাষ্ট্রগুলোতে এর পরিমাণ ০.১ হতে ০.৫ মাইক্রোগ্রাম। অর্থাৎ বাংলাদেশের বায়ুতে সভ্যতার জন্য বিপজ্জনক কালো কার্বনের উপস্থিতি ১০০-১২০ গুন বেশি।

মরণব্যাধি ক্যান্সার সংক্রমণের প্রধান উৎসকে নির্মূল করতে আমরা কি সত্যিকার অর্থে কিছু করছি? এমন প্রশ্ন তুলে মো. হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে সারাবছর মাত্র ৪৮ দিন কেবল সাধারণ মানুষ নির্মল বায়ু সেবন করার সুযোগ পান। এটাই নিষ্ঠুর বাস্তবতা। বিপজ্জনক ও দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশ থেকে বর্তমান এবং আগামীকে রক্ষা করতে এনবিআরের কাছে এ সংক্রান্ত শুল্ক-কর কাঠামো ঢেলে সাজানো এবং দূষণমুক্ত মোটরযান আমদানি উৎসাহিত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করছি।

তিনি বলেন, ফসিল ফুয়েলের চেয়ে ইলেকট্রিক ভেহিক্যালে কমপক্ষে চারগুণ বেশী জ্বালানি সাশ্রয় হয়।

পরিবহন খাতে জ্বালানি তেল ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেলে অতি দরকারী বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে তেল আমদানি যেমন কমবে, তেমনি সংকটকালে বৈদেশিক মুদ্রার সংরক্ষণ পুরো আমদানি খাতকে নির্ভর করে তুলবে। জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বিভিন্ন দেশে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০৩০ সাল নাগাদ মোটরযানে ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার কমে আসায় বাংলাদেশেও ইলেকট্রিক গাড়ির গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ জ্বালানি-সাশ্রয়ী ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ইনসেনটিভ প্রদান করে আসছে।



উদাহরণ দিয়ে ব্যবসায়ি এ নেতা বলেন, ভারতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের উপর জিএসটি (পণ্য ও পরিষেবা কর) ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং গাড়ির চার্জার বা চার্জিং স্টেশনের জন্য জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় প্রণোদনার মধ্যে রয়েছে স্ট্যাম্প শুল্কসহ অন্যান্য করাদির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশেও বেশি শুল্ক রেয়াত। নিউজিল্যান্ডে বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য নগদ ভর্তুকি দিচ্ছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশেও এ বিষয়ে সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে স্বাস্থ্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সড়কে মানসম্পন্ন যাত্রীবাহী বাস পরিচালনা এখন সময়ের দাবি এমন মত জানিয়ে মো. হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় তৈরি জাপানি বাসগুলোর মূল্য অত্যধিক বেশি বলে রাজস্ব নীতি সহায়ক না হওয়ায় এ ধরণের বাস আমদানি করা যাচ্ছে না। আগামী বাজেটে এসব বাস সাশ্রয়ী মূল্যে আমদানির সুযোগ দেওয়া হলে দেশে নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের মতো কার্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এর ফলে প্রাইভেট কার ব্যবহারের প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে এবং তা যানজট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বিভিন্ন শ্রেণির মাইক্রোবাসে ৩০ শতাংশ সম্পুরক শুল্ক আরোপ করা হয়। অতিরিক্ত শুল্ককরের চাপে বহুবিধ শিল্প খাতে ব্যাপক ব্যবহারযোগ্য এবং খুবই জনপ্রিয় এসব মাইক্রোবাসের আমদানি অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। অথচ ইতোপূর্বে বেশি যাত্রী পরিবহনে সক্ষম ১২/১৫ আসনের মাইক্রোবাস আমদানির ওপর কখনও সম্পূরক শুল্ক আরোপ হয়নি। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের কর্মী পরিবহন, শিক্ষার্থী পরিবহন, পর্যটন শিল্পসহ প্রায় সর্বক্ষেত্রেই এই শ্রেণির গাড়ির বিকল্প নেই। পোশাক শিল্পের ন্যায় শ্রমঘন শিল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিবহনে এই শ্রেণির গাড়ির ব্যবহার সর্বাধিক। এটি গ্রামীণ জনপদের জীবনকেও গতিশীল করার কাজে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকে। সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় সুদৃশ্য ও আধুনিক গণপরিবহণ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও অন্তরায় তৈরি হয়েছে।

বারভিডা সভাপতি বলেন, আগামী অর্থ বছরের বাজেটে এ বিষয়ে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যানজট নিরসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]