#দূরদর্শী বিচক্ষণ বিশ্ব নেতা শেখ হাসিনা: ড. ওয়ালি-উর রহমান। #মানবতার ধারক ও বাহক শেখ হাসিনা: আফজালুর রহমান বাবু।
প্রকাশ: বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যখনি আমি কিছু বলতে চাই বা লেখতে বসি তখনি অনেক গুলো ঐতিহাসিক ঘটনা আমার সামনে চলে আসে। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনি। শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন নতুন ভূমিকায়। বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ আর সেই দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনারবাংলায় রূপান্তর করেছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮৪১তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ দূত, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ালি-উর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. ওয়ালি-উর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যখনি আমি কিছু বলতে চাই বা লেখতে বসি তখনি অনেক গুলো ঐতিহাসিক ঘটনা আমার সামনে চলে আসে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বাবা-মা, ভাইসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যের নির্মম মৃত্যুর দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ব্যস্ত শেখ হাসিনা। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান তিনি। শিশুকাল থেকেই মা বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মানবিক শিক্ষায় আলোকিত হন শেখ হাসিনা। লন্ডন ও দিল্লিতে ছয় বছরের নির্বাসন সমাপ্ত করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা; যা মনে করিয়ে দেয় ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর সেই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে। এসেই হাল ধরলেন পিতার অসমাপ্ত কাজের। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ ৭ বছর নির্বাসন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা স্বদেশে ফেরেন। সেদিন ঢাকায় লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটেছিল। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সেদিন দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। সেই থেকে তাঁর নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম শুরু। ১৬ বছর সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তাঁর একটানা অকুতোভয় সংগ্রাম। অসীম ধৈর্য, সাহস ও দূরদৃষ্টির সঙ্গে মানবতার আলোকবর্তিকা হাতে সব দুঃখ-কষ্ট-আঘাত-ষড়যন্ত্র-শোক কাটিয়ে তিনি বিশ্বশান্তির অগ্রদূত হিসেবে নিজেকে প্রতিভাত করেছেন। ১৯৮১-৮৬ সাল পর্যন্ত সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা। ১৯৯১-এ দলীয় সাফল্য। অবশেষে ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো দেশ সেবার শপথ। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনি। শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন নতুন ভূমিকায়। প্রতিবেশী দেশের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে ‘বিশ্ব মানবতার বাতিঘর’ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকে।
আফজালুর রহমান বাবু বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবতার ধারক ও বাহক। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতীক। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন—অগ্রগতিতে বর্তমানে বিশ্বের রোল মডেল। তিনি অসাম্প্রদায়িক মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। শেখ হাসিনার সততা, দক্ষতা, দেশপ্রেম ও দক্ষ নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা উন্নত আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। তিনি মূলত বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সাথে করে যাচ্ছেন। আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন—অগ্রগতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করছেন। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাঁকে বারবার হত্যাচেষ্টা করছে। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা তাঁকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ করার জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাঁর শরীরে মূলত বঙ্গবন্ধুর রক্তকণিকা প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বঙ্গবন্ধুর ভাবনাগুলোকে তিনি বাস্তবায়ন করছেন। বাংলাদেশকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না, শুধু সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। দেশ যতদিন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে থাকবে, ততদিন নিরাপদ থাকবে। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্যই তিনি বেচে আছেন। বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ আর সেই দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনারবাংলায় রূপান্তর করেছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি দেশকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে ফেলছেন। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।