শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের সম্পর্কে মাইলফলক সৃষ্টি হবে: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:২৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক রক্তাক্ষরে লেখা। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা ও মিত্রবাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে এবং বুকের তাজা রক্ত তারা ঢেলে দিয়েছিল এই দেশের স্বাধীনতার জন্য। তাদের এই মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা মহান স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে পেরেছিলাম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু-দেশের মৈত্রী সম্পর্ককে ইতিহাসের এক নতুন মাইলফলকে নিয়ে গেছেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৮১৪তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক রক্তাক্ষরে লেখা। ভারতের সরকার এবং জনগণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে সহায়তা করেছে, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন রক্তের অক্ষরে সেটি লেখা থাকবে। তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক যে উচ্চতায় সেই সম্পর্কের সাথে অন্য কোনো দেশের সম্পর্ক তুলনীয় নয়। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা ও মিত্রবাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে এবং বুকের তাজা রক্ত তারা ঢেলে দিয়েছিল এই দেশের স্বাধীনতার জন্য। তাদের এই মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা মহান স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে পেরেছিলাম। আমাদের দীর্ঘদিনের মৈত্রী বন্ধনে আবদ্ধ থাকবার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছিল ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর চুক্তির মাধ্যমে। আমাদের মধ্যে পরস্পরের মধ্যে একধরনের নির্ভরতা আছে। সম্প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন এবং এর ফলে আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন আরেক পালক সংযুক্ত হবে এবং আমাদের মধ্যে মেলবন্ধন আরও বাড়বে। এর ফলে আমরা আমাদের অনাগত ভবিষ্যতের জন্য হাতে হাত ধরে অগ্রসর হতে সক্ষম হবো।