তিনি বলেন, এই মর্মে কতিপয় সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ বিভ্রান্তি দূর করতে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য প্রকৃত বিষয়টি নিম্নে তুলে ধরা হলো।
‘প্রকৃত ঘটনা এই যে সম্প্রতি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ২২১৫ পাতার একটি শ্বেতপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করে। শ্বেতপত্রটি পরীক্ষা করে সংক্ষিপ্তসার কমিশনে উপস্থাপন করার জন্য দুদক থেকে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে।'
‘শ্বেতপত্রটি পরীক্ষা করে কমিশনের নিকট উপস্থাপন করাই এই কমিটির দায়িত্ব। আলেমগণের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অনুসন্ধানের কোনো দায়িত্ব কমিটিকে দেয়া হয়নি। এমনকি কমিশন থেকে কোনো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।’
সচিব বলেন, দুদকে পত্রের মাধ্যমে, ১০৬ হটলাইনে কলসহ বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত অভিযোগ করা যায়। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির কোনো উপাদান বা তথ্য পাওয়া গেলে এবং তা দুদক আইনের শিডিউলভুক্ত হলেই কেবল তা পরবর্তী সময়ে অনুসন্ধানের অনুমোদনের জন্য কমিশনে উপস্থাপন করা হয়। এটিই দুদকে অভিযোগপ্রাপ্তি ও নিষ্পত্তির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
এর আগে গত ২১ জুন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও উপ-পরিচালক আহসানুল কবীর পলাশ। দুদক এই টিমকেই সংবাদ সম্মেলনে অভ্যন্তরীণ কমিটি বলছে।
দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্তের পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডলের সই করা চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ বইয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড এবং তার শ্বেতপত্রের ভিত্তিতে অভিযোগটি ৩ সদস্য বিশিষ্ট টিমের মাধ্যমে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।