দেশের টাকায় নির্মিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়: প্রধানমন্ত্রী
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ১৮ মে, ২০২২, ৮:৫৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ফাইল ছবি
দেশের টাকায় নির্মিত পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৮ মে) প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করতে পারে, সেটা আজ আমরা প্রমাণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানানো হচ্ছে। কারণ স্প্যানগুলো যখন বসানো হচ্ছিল, সেটা তার কাছে জোড়াতালি মনে হয়েছিল। বলেছিলেন, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানানো হচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। তার সঙ্গে তার কিছু দোসরও (এভাবে বলেছিল)। তাদের কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে পদ্মায় ফেলে দেওয়া উচিত।
পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন করার কথা থাকলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়, এই অর্থায়ন বন্ধের পেছনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকা আছে অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর যিনি একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করেছেন, তাকেও পদ্মায় নিয়ে দুটি চুবানি দিয়ে উঠিয়ে নেওয়া উচিত। মরে যাতে না যান, পদ্মায় একটু চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে যদি এদের শিক্ষা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর অর্থ বন্ধ করেছিল ড. ইউনূস। কেন তাঁকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদে থাকতে হবে? তাঁকে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম গ্রামীণ ব্যাংকের উপদেষ্টা হতে। সেটা সে থাকবে না, তাঁকে এমডিই থাকতে হবে। কিন্তু তাঁর বয়সে কুলায় নাই।
তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস কিন্তু আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল। কিন্তু কোর্ট আর যাই পারুক, তার বয়স তো কমিয়ে দিতে পারবে না। গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে বলা আছে ৬০ বছর পর্যন্ত থাকতে পারবে, তখন তাঁর বয়স ছিল ৭১ বছর। এই বয়স তা সে কমাবে কীভাবে ? এই মামলায় সে হেরে যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ড. ইউনূস ও মাহফুজ আনাম আমেরিকায় চলে যায়। তাঁরা স্টেট ডিপার্টমেন্টে যায় ও হিলারির কাছে যায় এবং ইমেইল পাঠায়। হিলারী শেষ পর্যায়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে মিস্টার জলিল যিনি অ্যাসিসটেন্ট ডাইরেক্টর ছিলেন, তিনি শেষ কর্মদিবসে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিলেন। যাক একদিকে আমাদের সাপে বর হয়েছে। বাংলাদেশ যে নিজের অর্থে পদ্মা সেতু করতে পারে, তা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের এখানে একজন জ্ঞানী মানুষ বলে ফেললেন, ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে ও ৪০ হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আরেকজন বললেন দক্ষিণবঙ্গের কোনো মানুষতো রেলে চড়বে না। তারা তো লঞ্চে যাতায়াত করে। তাদের রেলে যেতে হবে কেন। এই রেল ভায়াবেল হবে না। সেতুর কাজ হয়ে গেছে, সেতু নিয়ে কথা বলতে পারছে না। এখন রেলের কাজ হচ্ছে রেল নিয়ে তারা কথা বলছে।
সরকার প্রধান বলেন, আমার মনে হয় সকলের উনাকে চিনে রাখা উচিত এবং রেল যখন চালু হবে তখন উনাকে রেলে নিয়ে চড়ানো উচিত।