প্রকাশ: শনিবার, ১৪ মে, ২০২২, ১:১১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পরও শান্ত হয়নি শ্রীলঙ্কা। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে আবারো বিক্ষোভে নেমেছেন সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী জোট এবং বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা।
আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করে প্রেসিডেন্টের পদ্যাত্যাগের দাবিতে শুক্রবার আবারো বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধীদল সমগী জনা বালাওয়েগয়ার রাজনীতিকরা।
সামাজি জানা বালাওয়েগায়ার কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড নতুন প্রধানমন্ত্রীর নেত্বাধীন অন্তর্বর্তী জোট সরকারে যোগ দেওয়ার পরিবর্তে দেশে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন দলটির এক জেষ্ঠ্য নেতা।
সামাগি জানা বালাওয়েগায়ার এমপি ও জ্যেষ্ঠ নেতা ইরান বিক্রমারত্নে রয়টার্সকে বলেন, এটা ইতোমধ্যে পরিষ্কার—নতুন প্রধানমন্ত্রী আসলে প্রেসিডেন্টের আজ্ঞাবহ। অর্থাৎ রিমোট কন্ট্রোল এখনও আছে প্রেসিডেন্টের হাতেই।
‘এই দেশ চায় রাজাপাকসেরা বাড়ি ফিরে যাক এবং আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভকারী-সরকার সমর্থকদের মধ্যেকার সংঘাতে নয়জন নিহত হয়। আহত হয় তিনশ’র বেশি। সংঘাতের জেরে সোমবার প্রেসিডেন্টের বড় ভাই মাহিন্দা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নেন সামরিক ঘাঁটিতে।
বৃহ্স্পতিবার বিরোধী দলীয় প্রবীণ রাজনীতিক রনিল বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। দ্বীপরাষ্ট্রের আর্থিক, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে প্রেসিডেন্টের এ পদক্ষেপ কোনো কাজেই আসেনি।