প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ মে, ২০২২, ১১:১৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শ্রীলংকা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি ঈর্ষণীয় দেশ ছিল। তাদের জনসংখ্যা কম এবং নয়নাভিন্ন একটি পর্যটনমুখী দেশ শ্রীলংকা। আমি বলবো, দুর্ভাগ্যজনিত কারণে আজকে দেশটির এই দশা। করোনা অতিমারি সবচে বড় দংশন করেছে এই দেশটিকে। বাংলাদেশের অগ্রগতি হলে, বাংলাদেশের উন্নয়ন হলে তো আমাদের সবার জন্যই মঙ্গলকর। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থা যদি শ্রীলঙ্কার মতো হয় তাহলে কি তারা রক্ষা পাবে। এই সাধারণ বিষয়টুক তারা বুঝেনা। সেই ক্ষেত্রে তাদেরকে রাজনৈতিক উন্মাদ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৭০৩তম পর্বে শুক্রবার (১৩ মে) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শাহাবউদ্দিন মোহাম্মদ, লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাতা আফছার খান সাদেক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
আফছার খান সাদেক বলেন, প্রায় ৫১০০ কোটি ডলারের আন্তর্জাতিক ঋণ মাথায় নিয়ে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থার ভয়াবহতার কারণে জনবিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা বিদেশি ঋণের দায় মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে, ফলে পণ্য আমদানি করতে পারছে না। এমনকি তেল আমদানির করার ক্ষেত্রেও এক ভয়ঙ্কর সংকটের মুখে পড়েছে। শ্রীলংকার এই অবস্থার পর অনেকে বলার চেষ্টা করছে যে, অপরিকল্পিত এবং অনুন্নয়নশীল পরিকল্পনায় মেগা প্রকল্প এরকম পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। বিএনপির নেতৃবৃন্দরা বলার চেষ্টা করছে যে, শ্রীলঙ্কা থেকে শিক্ষা নিতে হবে, শ্রীলংকার মতো পরিস্থিতি বাংলাদেশেও হতে পারে। গত ১৩ বছরে বর্তমান সরকার অনেকগুলো বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং এই প্রকল্প গুলো প্রায় শেষ পর্যায়ে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের মতো বড় বড় প্রকল্পগুলো বাংলাদেশে গ্রহণ করা হয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের উন্নয়নের দৃশ্যপট রচনা করেছে। বাংলাদেশের যে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তার সবই জনসম্পৃক্ত এবং জনগণের কল্যাণে। শ্রীলঙ্কার বর্তমান দশা কিন্তু একদিনে হয়নি। বর্তমান তাদের এই পরিস্থিতির কারণে যেসকল মন্ত্রী-এমপিরা রয়েছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে বর্তমান সরকার ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে কখনো শ্রীলংকার মত পরিস্থিতি হবেনা। আমাদের অর্থনীতির ভিত অনেক গভীর ও মজবুত। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র শ্রীলংকার সাথে বাংলাদেশের তুলনা করে নতুন ষড়যন্ত্র রচনা করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে তাদের এ মিথ্যাচার দেশের ১৭ কোটি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। বিশ্বের বুকে ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে রোডম্যাপ প্রণয়ন করে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন সেটি বাস্তবায়িত হলে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।