প্রযুক্তি এবং স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তা চ্যালেঞ্জের মধ্যে প্রযুক্তি খাতে অবদানের জন্য রেস্ট অফ ওয়ার্ল্ডস (ROW) ১০০ গ্লোবাল টেক চেঞ্জমেকারদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিন বাংলাদেশি। তারা হলেন, সোনিয়া বশির কবির, আফিফ জামান ও মরিন তালুকদার।
আরওডব্লিউ হচ্ছে বিশ্বব্যাপী অলাভজনক প্রকাশনা যাপশ্চিমের বাইরে প্রযুক্তির প্রভাবকে কভার করে। আরওডব্লিউ সিলিকন ভ্যালি এবং পশ্চিমের বাইরে প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব, উদ্ভাবক এবং বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে কর্মী পর্যন্ত সেসব ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে, যাদের প্রচেষ্টা বিশ্বের অধিকাংশ জনসংখ্যার বসবাসকারী দেশগুলোতে সরাসরি প্রভাব ফেলে।
এ বছরের শুরুর দিকে এটি ফিনটেক, ই-কমার্স, নীতি, ডিজিটাল অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিতে প্রভাবিত করে এমন অন্যান্য সেক্টরের মধ্যে ১০০ জন সবচেয়ে প্রভাবশালী, উদ্ভাবনী এবং ট্রেলব্লাজিং ব্যক্তিত্ব খুঁজে বের করার লক্ষ্যস্থির করেছিল।
এ বিষয়ে আরওডব্লিউ বলেছে, ‘তালিকাটি একত্র করার জন্য আমাদের রিপোর্টার এবং সম্পাদকরা প্রতিটি আঞ্চলিক বাস্তুতন্ত্রের ব্যক্তিদের নিয়ে গবেষণা করেছেন যারা তাদের সেক্টরে একটি অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং লজিস্টিক, আর্থিক এবং রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে যুগান্তকারী কিছু নির্মাণের সাথে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।’
এই তিনজনের মধ্যে, সোনিয়া বশির কবির হলেন এসবিকে টেক ভেঞ্চারস-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এসবিকে টেক ভেঞ্চারস একটি বাংলাদেশ কেন্দ্রিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড যা গ্রামীণ এলাকার ডিজিটাল উন্নয়নে সহায়তা করে এমন স্টার্টআপগুলোতে বিনিয়োগ করে।
এসবিকে টেক ভেঞ্চারসের পোর্টফোলিওতে ফিনটেক, হেলথ টেক, এডু টেক থেকে ব্লকচেইন, বিটুবি সাস থেকে ই-কমার্স পর্যন্ত ৪০টিরও বেশি স্টার্টআপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এর আগে সোনিয়া বশির কবির মাইক্রোসফ্ট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে, মায়ানমার, নেপাল, ভুটান এবং লাওস সোনিয়া দাতা সংস্থা, ব্যাঙ্ক, টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি এবং শিক্ষার্থীদের সাথে অংশীদারিত্ব করে কোম্পানির উদ্যোগকে সমন্বয় ও বিস্তৃতির কাজ করতেন।
প্রযুক্তির গণতন্ত্রীকরণ এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তার প্রচেষ্টার কারণে তিনি মর্যাদাপূর্ণ অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন যার মধ্যে বিল গেটস প্রতিষ্ঠাতা পুরস্কার এবং জাতিসংঘের ঝউএ পাইওনিয়ার পুরস্কার উল্লেখযোগ্য।
আফিফ জামান বাংলাদেশে সমস্যা সমাধানে একজন উদীয়মান বিশেষজ্ঞ। তিনি শপআপের সিইও, যা মাইক্রো, ছোট এবং মাঝারি আকারের উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফুল-স্ট্যাক বিজনেস-টু-বিজনেস কমার্স প্লাটফর্ম।
এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে তিনি ৪.৫ মিলিয়ন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যারা জনপ্রিয় মম-এন্ড-পপ স্টোর চালাচ্ছেন কিন্তু ডিজিটালাইজেশনের অভাবের তারা আনুষ্ঠানিক আর্থিক স্থিতিতীলতা আনতে সংগ্রাম করেছিলেন।
মরিন তালুকদার হলেন বাংলাদেশ-ভিত্তিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম পিকাবু-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। তিনি ২০১৫ সালে অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম ehatbazaar.com প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা তিনি পিকাবুতে ফোকাস করার জন্য এক বছর পরে বিক্রি করে দিয়েছিলেন।
পিকাবুর ছয় বছরের অপারেশন এবং পাঁচটি ফান্ডিং রাউন্ডের সময়, এটি তার গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে এবং এখন তারা দাবি করে যে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম।