প্রকাশ: শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৯:০১ পিএম আপডেট: ১৬.০৪.২০২২ ৯:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পা ুপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামের ২০ উদ্যোমী যুবক তাদের পুকুরেই ঝিনুকে মুক্তা চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি মুক্তা চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে পুরো জেলা জুরে। এই উদ্যোক্তাদের প্রথমে পাগল বললেও তাদের সাফল্য দেখে এখন আগ্রাহী হচ্ছেন অনেক বেকার যুবক। মুক্তা চাষে ঝুঁকি কম ও লাভজনক। মুক্তা চাষে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার কথা জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা।
পুকুরের পানিতে তিন ফুট পর পর ভাসছে ফাঁকা প্লাষ্টিকের বোতল। সেখানে পানির এক ফুট নিচে রয়েছে নেট। সেই সব নেটে রয়েছে ২০টি করে জীবন্ত ঝিনুক। এ ঝিনুক থেকেই উৎপাদন হচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের মুক্তা। বিল ও জলাশয় থেকে ঝিনুক সংগ্রহ করে প্রথমে সেই ঝিনুকের এক পাশে টিশু পদ্ধতিতে নানা আকৃতির প্লাষ্টিকের নিউক্লাস প্রতিস্থাপন করা হয়। ৭ থেকে ৮ মাস এসব ঝিনুক থাকে পানিতে। মাঝে মধ্যে এসব ঝিনুক তুলে পরিচর্চা করেন চাষিরা। পরে পরিপক্য ঝিনুক তুলে সার্জারি পদ্ধতিতে মুক্তা বের করা হয়।
আত্রাই উপজেলার জগদাশ গ্রামের কবির হোসেন করোনা কালিন সময়ে বেকার হয়ে পড়েন। ইউটিউবে চাষ পদ্ধতি দেখে উদ্বুদ্ধ হন মুক্তা চাষে। প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেন মুক্তা চাষ। প্রথমে অনেকেই তাকে পাগল বললেও এখন সে জেলার মডেল উদ্যোক্তা।
কবির হোসেন বলেন, এখন তার পুকুরে ১৫ হাজার মুক্তা চাষ হচ্ছে, তিনি আগামী মাসের মধ্যে আরও ১৫ হাজার মুক্তা সহ ৩০ হাজার মুক্তা চাষ করার আশাবাদী।
কবিরের সাফল্য দেখে তার সাথে মুক্তা চাষে যোগ দেন গ্রামের আরও ২০জন বেকার যুবক। ইতোমধ্যেই গ্রামটি এখন মুক্তা চাষির গ্রাম হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। তবে উদ্যোক্তারা বলছেন স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা পেলে এটির বিস্তার ঘটবে আরও।
জেলা মৎস কর্মকর্তা আমিমুল আহসান বলেন, মুক্তা চাষে ঝুঁকি কম ও লাভজনক। মানসম্মত মুক্তা চাষ করতে পারলে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। তাই মানসম্মত মুক্তা চাষে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে।
পুকুরে মাছের সাথে মুক্তা চাষ করায় কম খরচে লাভ হচ্ছে বেশি। মাত্র ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মুক্তা বিক্রি করছেন উদ্যোক্তারা।