প্রকাশ: বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২, ১০:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রংপুরের পীরগাছায় গভীর রাতে গৃহবধূর ঘরে ঢোকার অভিযোগ উঠেছে শহিদুল ইসলাম নামে ২৪ বছর বয়সী এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মাসখানেক ধরে এলাকায় বিচার-সালিশের প্রক্রিয়া চলছে। তবে সালিশ মানতে নারাজ শহিদুল। সেই ক্ষোভে ও লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন তার বাবা।
বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ছাওলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন। এর আগে, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেব নয়ারহাট গ্রামে নিজ বাড়ির পেছনে গাছের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফুল চাঁন মিয়া। তিনি একই গ্রামের লাল চাঁদ শেখের ছেলে।
জানা গেছে, সম্প্রতি গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী মানিক মিয়ার বাড়ির এক নববধূর ঘরে ঢোকেন ফুল চাঁন মিয়ার ছোট ছেলে শহিদুল। ওই নববধূর স্বামী ঢাকায় থাকেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শহিদুল পালিয়ে যান। এ নিয়ে সালিশ-বৈঠকের নামে দীর্ঘ এক মাস ধরে দেনদরবার চললেও কোনো সুরাহা হয়নি।
এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি সমাধান করে দেবেন বলে জানান। পরে ২২ মার্চ ওই গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে এলে শহিদুলের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ২৮ মার্চ উভয় ঘটনা নিয়ে সালিশ -বৈঠকে বসার কথা থাকলেও তা না মানার ঘোষণা দেন শহিদুল। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চান বাবা ফুল চাঁন মিয়া।
এ নিয়ে ক্ষোভে মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির পাশে গাছের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফুল চাঁন মিয়া। পরে সকালে তার মরদেহ নামিয়ে বাড়িতে রাখা হয়। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে তাকে দাফনের অনুমতি দেয় পুলিশ।
পীরগাছা থানার ওসি সরেস চন্দ্র বলেন, চাঁন মিয়া ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।