শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিরোনাম: দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫    মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির    মৎস খাতে বাংলাদেশকে ১৭২ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছে জাপান     আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হলেন আম্পায়ার সৈকত    জেনে নিন আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস    শুক্রবার নাগাদ আসতে পারে ভারতের পেঁয়াজ    বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
লিবিয়ায় সাংবাদিক জাহিদ ও প্রকৌশলী সাইফুল নিখোঁজ
সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২, ৭:৪৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ঢাকা থেকে লিবিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি সাংবাদিক জাহিদুর রহমান গত ৬ দিন ধরে নিখোঁজ আছেন। ঢাকার সাভার এলাকার বাসিন্দা জাহিদুর রহমান (৪৮) এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি। এছাড়াও তিনি এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের পরিচালক।

জাহিদের সঙ্গে থাকা লিবিয়ার বাংলাদেশি প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও তাদের লিবিয়ার গাড়িচালক মোহাম্মদ খালেদও একই সময় থেকে নিখোঁজ হয়েছেন।

জাহিদের পরিবার জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। তবে, লিবিয়ায় থাকা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের পরিবারের ধারণা, ত্রিপলিতে যেহেতু মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণ কম কাজেই ক্ষমতাসীন সরকারের কোনো বাহিনীর কেউও তাদের ধরে নিয়ে যেতে পারে।

লিবিয়ার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান বলেন, 'তারা এখন ধারণা করছেন কোনো মিলিশিয়া গ্রুপই তাদের ধরে নিয়ে যেতে পারে।'গত ২১ মার্চ লিবিয়ায় যান জাহিদুর।

তার স্ত্রী তাসলিমা রহমান বলেন, '২৩ মার্চ দুপুরে আমাদের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয়। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ। আমরা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। ২৪ ঘণ্টা পর অনেকেই আমাদের জানাতে থাকেন তার সঙ্গে অনলাইনে বা ফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তার ফোন  কখনো বন্ধ থাকে না। আমার তখন উদ্বিগ্ন হই। ২৪ ঘণ্টা পর আমরা প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানকে জানাই। তিনি পরে খোঁজ নিয়ে জানান- তিনি যে হোটেলে ছিলেন সেই কোরিনথিয়া হোটেলে ফেরেননি।'জাহিদুর রহমান অবশ্য ২৩ মার্চ দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে কোরিনথিয়া হোটেল থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এরপর থেকে তার কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি। তিনি আর ফেসবুকে সক্রিয় ছিলেন না। জাহিদুর রহমান এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধির পাশাপাশি সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেরও পরিচালক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে দূতাবাস থেকে খোঁজ জানাতে বলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পরে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়। এরপর তারা জানতে পারেন জাহিদুর রহমানকে কে বা কারা অপহরণ করেছে। পরে এনটিভি থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, ২২ মার্চ দুপুরে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির ময়দানে সোহাদা নামে পরিচিত গ্রিন স্কয়ারে গিয়ে একাধিক ছবি তোলেন। সেখান থেকে তিনি লেপসিস ম্যাগনা এলাকায় যান। গ্র্রিন স্কোয়ারে লিবিয়ায় জাতীয় পতাকা হাতে এক বৃদ্ধের সঙ্গে তিনি একাধিক ছবিও পোস্ট করেন নিজের ফেসবুকে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম টিপু এবং তাদের লিবিয়ান গাড়িচালক মোহাম্মদ খালেদ।



সূত্র আরো জানিয়েছে, গাদ্দাফির সময় এই এলাকাটি গ্রীন স্কয়ার নামে পরিচিত ছিল। তবে, ২০১১ সালের ২১-২২ আগস্ট লিবিয়ার বিদ্রোহীরা এই জায়গার নিয়ন্ত্রণ নেন। গাদ্দাফির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিহতদের স্মরণে তারা এই জায়গাকে শহীদদের স্মরণে মার্টিয়াড স্কয়ার নাম দেন। এখানে গিয়ে লিবিয়ার পতাকা হাতে ছবি তোলার পরপরই সরকারি লোকজনের সন্দেহ হয়। এসবের জের ধরে কাছাকাছি কোনো জায়গা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।

জাহিদুর রহমানের সঙ্গে থাকা প্রবাসী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম টিপুর বাবা দারুল ইসলাম জানান, 'ঢাকা থেকে জাহিদুর রহমান নামে একজন সাংবাদিক আসেন। তাকে নিয়ে আমার ছেলে টিপু ও লিবিয়ান ড্রাইভার খালেদ বের হন। ২৩ মার্চ থেকে তারা নিখোঁজ।

জাহিদুরের নিখোঁজের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিভির হেড অব নিউজ জহিরুল আলম বলেন, 'আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি।'

লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান বলেন, 'আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম সরকারের কোনো সংস্থা তাকে ধরে নিয়ে যেতে পারে। এখন মনে হচ্ছে তাকে কোন মিলিশিয়া গোষ্ঠীও ধরে নিয়ে যেতে পারে। আমরা এখনো ঠিক নিশ্চিত নই। তবে, ২৩ মার্চ কোন জায়গা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেটি আমরা এখন মোটামুটি জানতে পেরেছি। ত্রিপোলিতে সাংবাদিক জাহিদুর রহমান নানা জায়গায় ছবি তুলছিলেন। এখানে ছবি তোলা নিষেধ। এটি একটি বড় কারণ। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।'

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]