প্রকাশ: শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৭:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনার ভ্যাকসিন পেয়ে মহা খুশি পাহাড়ি-বাঙ্গালীরা।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সরকারি নির্দেশে দেশে প্রায় ১কোটি করোনা ভ্যাকসিন জনগণকে প্রদান করার কথা রয়েছে। সারা দেশের ন্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকার ঘোষিত এ গণটিকা প্রদান করার অংশ হিসাবে সদর ইউনিয়নের তাংরা বিছামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, আমতলীর মাঠে, আশারতলী প্রাইমারী স্কুল,ঘুমধুম বড়বিল স্কুল,পাত্রা ঝিরি স্কুল দোছড়ি ইউপির পাইনছড়ি স্কুলসহ উপজেলার প্রায় ১৭টি স্হানে এক সাথে গণটিকার প্রদান করা হয়। গ্রাম্য বিভিন্ন গুজবকে প্রত্যাখ্যান করে এলাকা সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
সকাল সাড়ে ১০ থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন গণ টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,আজ ২৬ ফেব্রুয়ারী কোভিট ১৯ ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস এবং নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাফর মোঃ সেলিম এর নেতৃত্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মীরা ভ্রাম্যমান ভ্যাক্সিন টিম গঠন করে প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে প্রতিটি এলাকায় গিয়ে কোভিট ১৯ ভ্যাক্সিন এর প্রথম ডোজ দিয়ে দিচ্ছেন।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেন, আমি চাই না নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মানুষরা যাতে কোভিট ১৯ ভ্যাক্সিন না নেওয়ার কারণে সরকারী সেবা থেকে বঞ্চিত হোক। এজন্য সরকারী নিদের্শনা অনুযারী কেউ যাতে ভ্যাক্সিন ছাড়া না থাকে সেই লক্ষ্যে আমি স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ভ্রাম্যমান ভ্যাক্সিন টিম গঠন করে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং যারা এখনো ভ্যাক্সিন গ্রহণ করে নি তাদের কে এলাকায় গিয়ে ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়।
যেহেতু ২৬ ফেব্রুয়ারী শেষ হচ্ছে ভ্যাক্সিনের ১ম ডোজের মেয়াদ। এর পর থেকে ইচ্ছে করলেও মিলবে না এ প্রথম ডোজ।