বিএনপির লবিস্ট ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়: ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম লগ্ন থেকেই চক্রান্ত করে আসছে ষড়যন্ত্রকারীরা। আর যে দলটির জন্ম হয়েছে চক্রান্তের মধ্যদিয়ে সে দলটির কাছে চক্রান্ত করা নতুন কিছু নয়। তাদের চক্রান্ত ছিল বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা এবং তারা এই কাজটি এখনো করে যাচ্ছে। আজ তারা যখন দেখছে জাতির পিতার রক্তের সুযোগ্য উত্তরাধিকারী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে ছাই দিয়ে যে দুর্বার গতিতে বাংলাদেশকে সব দিক থেকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক সে সময়ে ষড়যন্ত্রকারীরা আরও সুক্ষ্ম কৌশল অবলম্বন করেছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৯৮তম পর্বে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি, কুষ্টিয়ার সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, ২০১৫ সালে আমার সুযোগ হয়েছিল ইংল্যান্ডে যাওয়ার। সে সময়টায় আমরা সেখানে গিয়েছিলাম একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্যদের সাথে। সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে সেসময়কার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য এবং মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করা এবং তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করা। সে সময়ে একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা যার হেড কোয়ার্টার ছিল লন্ডনে যার বর্তমান সময়ে আলোচিত লবিস্ট ১২টি সংগঠনের মধ্যে তাদের নাম আছে। সে সময়ে তাদের দক্ষিণ এশিয়ার দায়িত্বে যিনি ছিলেন তার সাথে আমাদের দীর্ঘ বৈঠক হয়েছিল। তিনি পাকিস্তানি বংশদ্ভূত ছিলেন। তিনি সে সময় আমাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন যে অন্তত একজন যুদ্ধাপরাধীদেরকে যেন ফাঁসিতে না দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তাহলে তাদের বলার একটা জায়গা থাকবে যে তারা কিছুটা হলেও অর্জন করতে পেরেছে। কারণ সবাইকে যদি ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তাদের আর কোন মুখ থাকবে না, তাদের জবাবদিহিতা করার কোন জায়গা থাকবে না। আজকের প্রসঙ্গে যদি ফিরে আসি সেটা হচ্ছে লবিস্ট ষড়যন্ত্র। এটি কিন্তু বিএনপির পক্ষে নতুন কিছু না, যে দলটির জন্ম হয়েছে চক্রান্তের মধ্য দিয়ে সে দলটির কাছে চক্রান্ত করা নতুন কিছু না। তাদের চক্রান্ত ছিল বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা এবং তারা এই কাজটি এখনো করে যাচ্ছে। একাত্তরে বাংলাদেশের যে অভ্যুদয় সেটা কিন্তু একটি রাষ্ট্রের পরাজয় নয় কিন্তু এটা একটা আদর্শের পরাজয় ছিল। যে দলটির সৃষ্টি হয়েছে ষড়যন্ত্র করার জন্য, বাংলাদেশের উন্নয়নকে পেছনে টেনে নেওয়ার জন্য সেই দলটির কাছেতো আর নতুন কিছু আশা করা যায় না, বাংলাদেশকে পেছনে টেনে পাকিস্তানি কায়দায় পরিণত করার জন্য সুতরাং সেই দলটির কাছে থেকে এই ষড়যন্ত্র করা আর নতুন কিছু নয়।