শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোনাম: দেশব্যাপী ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি    কেনিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০    বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী    ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের    ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে    ইরানে পাল্টা হামলা করল ইসরায়েল    ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম জীবন্ত কিংবদন্তি
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১, ১:১৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি ১৯৪৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরের সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মরহুম আলী আহম্মদ মিয়া ও মা মরহুমা মোসা. আক্তারুন্নেছা। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইসলামের ইতিহাসে এমএ পাস করে পরে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। সঙ্গীত পিপাসু মায়া চৌধুরী মিউজিক কলেজ থেকে আই মিউজিক পাস করেন।

১৯৬৫ সালে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন এবং তৎকালীন পাকিস্তান আমলে বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। 

১৯৭১ সালের জুন মাস। একদল গেরিলা যোদ্ধা রাজধানী ঢাকা শহরে ভয়াবহ আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন ২নং সেক্টরের ক্র্যাক প্লাটুন সদস্য। তাদের টার্গেট হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থানরত বিদেশি পর্যটক, রাষ্ট্র্রদূত ও গণমাধ্যমকর্মীসহ বিশ্বের কাছে বাংলাদেশে চলমান ভয়াবহ মুক্তিযুদ্ধের বার্তা পৌঁছানো।

দিনের আলো পেরিয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই ক্র্যাক প্লাটুন সদস্যদের বোমার ভয়াবহ শব্দে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালসহ আশেপাশের এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠলো। বিশ্বের মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছালো বাংলাদেশে মরণপণ মুক্তিযুদ্ধ চলছে। 

এ অপারেশনে নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ আয়ামীলীগের নবনির্বাচিত প্রেসিডিয়াম সদস্য জননেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম | 

১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যুদ্ধকালীন সময়ে ২নং সেক্টরের ক্র্যাক প্লাটুনের কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন ও মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ‘বীরবিক্রম’ খেতাব লাভ করেন।



মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ১৯৭২ সালে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ নির্ভীক কর্মী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন | পরে তিনি একাধিকবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জিয়া এরশাদ খালেদা-নিজামী জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন | 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৯ সালে ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটির আহবায়ক ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসেবে যুদ্ধ অপরাধী খুনী এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলেন | 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন করতে গিয়ে জাতীয় চার নেতার সাথে দীর্ঘ তিন বছর কারারুদ্ধ হোন এবং অমানুষিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন | হাইকোর্টের  রিটের মাধ্যমে তিনি মুক্তি লাভ করেন।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]