প্রকাশ: রোববার, ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ৪:৪৭ পিএম আপডেট: ২৪.১০.২০২১ ৪:৫৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কৃষিবিদদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, আপনারা পেঁয়াজের এমন বীজ আনেন যাতে সেপ্টেম্বর অক্টোবরে আমরা পেঁয়াজ পাই। উৎপাদন বাড়ানো গেলে, নষ্ট কমলে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে পেঁয়াজের বাজারে কোনো সমস্যা হবে না।
রোববার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও ভোগের সঠিক পরিসংখ্যানের অভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পেঁয়াজের কথা ধরেন। পেঁয়াজের জ্বালাতেই আমি অস্থির হয়ে পড়েছি। পরিসংখ্যানের একটা ঝামেলা রয়েছে।
টিপু মুনশী বলেন, আমাদের প্রয়োজন ২৪-২৫ লাখ টন পেঁয়াজ। উৎপাদনও হয় এমনই ২৫-২৬ লাখ টন। তাহলে আমদানি কেন? এমন প্রশ্ন আসে। সেক্ষেত্রে বক্তব্য হচ্ছে প্রায় ২০ শতাংশ পেঁয়াজ আমাদের নষ্ট হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকেই আমাদের পেঁয়াজ কমতে থাকে। তখন ভারত থেকে আনতে হয়। এ ক্ষেত্রে ভারতের উপর আমরা ৯০ শতাংশ নির্ভরশীল। ভারত বন্ধ করে দিলে অথবা দাম বাড়ালে এর প্রভাব বাজারে পড়ে।
পণ্যের মজুত ও চাহিদা সম্পর্কে কৃষি মন্ত্রণালয় সঠিক তথ্য দেয় না জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর কৃষি মন্ত্রণালয় হিসাব দিলো ১ কোটি ৫ লাখ টনের মতো আলু উৎপাদন হবে। আর আমরা ৭০-৭৫ লাখ টন আলু খাই। তার মানে আলু সারপ্লাস থাকবে। কিন্তু গত বছরের বাজারের চিত্র কিনতু সেটা বলে না।
তিনি আরও বলেন, গত বছর আলুর দাম ৪০ টাকায় ঠেকলো। কোল্ডস্টোরেজ থেকে বেরোতে বেরোতে আলু ৩৫-৩৬ টাকা হয়ে গেলো, আলু এক্সপোর্ট হলো না। তার মানে হিসাবে একটা গণ্ডগোল রয়েছে। হয় আলুর উৎপাদন কম হয়েছে, নয়তো আলুর চাহিদা আরো বেশি।
ভোরের পাতা/অ