সংবাদ সম্মেলনে সালমান এফ রহমান বলেন, ইন্ডিটেক্স গ্রুপসহ ইউরোপের আরো অনেকগুলো ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ঢাকার কার্গোতে স্ক্যানিং মেশিন নিয়ে অভিযোগ করেছে। রপ্তানিতে সমস্যা হচ্ছে। আমি কয়েকদিন আগে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তখন তারা জানায়, স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট হয়েছে, তবে সমস্যা সমাধান হয়ে যাওয়ার ও আশ্বাস দিয়েছিলেন তারা। এখন শুনলাম গত সাত দিন যাবৎ স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট।
তিনি বলেন, সাত দিনের আগে দুইটি মেশিন ঠিক কতা সম্ভব হবে না। বর্তমানে ডগ স্ক্যানিং এর মাধ্যমে বর্তমানে পণ্য রপ্তানির কার্যক্রম চলছে। কিন্তু এর ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি তো হচ্ছে সঙ্গে নিজেদের ইমেজও বৈশ্বিক পর্যায় খারাপ হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কভিডের মধ্যেও বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.৬ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে। সিভিল এভিয়েশনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে অক্টোবর মাসেই মেশিন চালু করার জন্য বাইরে থেকে লোকজন আনা হবে। আর নভেম্বরের মধ্যেই এই স্ক্যানিং মেশিন চালু করা যাবে। এই বিষয় নিয়ে আমি মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গেও আলোচনা করব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ছয় মাসেও নতুন দুটি ইডিএস মেশিন চালু না হওয়ার পেছনে গাফিলতি আছে।
সালমান এফ রহমান বলেন, চীনে বিদ্যুৎ সংকটের কারণে অনেক বস্ত্রকল বন্ধ। সামনে তাদের নববর্ষ। আবার ভিয়েতনামে করোনার কারণে কারখানা বন্ধ। ফলে আমাদের কাছে অনেক ক্রয়াদেশ আসার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার বড়দিন যত এগিয়ে আসবে, ততই কার্গোর ওপর চাপ বাড়বে। ইডিএস ঠিক না হলে চলমান ক্রয়াদেশের পণ্য পাঠানো সম্ভব হবে না, বাড়তি ব্যবসাও আমরা নিতে পারব না। তিনি আরও বলেন, ইডিএস নষ্ট থাকায় রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
পরিদর্শনের সময় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা, বর্তমান কমিটির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম ও শহিদউল্লাহ আজিম উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের পাতা/কে