বৈঠকে ইতোপূর্বে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত এবং পরীক্ষাপূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য কমিটিতে প্রেরিত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল, ২০২১’ এবং ‘গান্ধী আশ্রম (ট্রাস্টি বোর্ড) বিল, ২০২১’ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। কোনো সংশোধনী না থাকায় বিল দু’টি জাতীয় সংসদে পাসের উদ্দেশ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য কমিটি কর্তৃক সুপারিশ করা হয়।
গত ৩ জুলাই বিলটি সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে খসড়া আইনটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জমান সরকার বলেন, বিলটি আমরা চূড়ান্ত করে দিয়েছি। মন্ত্রণালয় যেভাবে দিয়েছে আমরা তাতে কোনো পরিবর্তন আনিনি।
সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে বিলের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আইন কার্যকর হলে ১৯৭৬ সালের ‘দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্স’ রহিত হবে।
প্রস্তাবিত আইনে নির্বাচন কমিশনকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা বিদ্যামান আইনে নেই।
বিলে বিদ্যমান আইনের ৮ নম্বর ধারায় একটি উপধারা যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা আছে, ‘দৈব-দুর্বিপাকে বা অন্য কোনো কারণে আঞ্চলিক সীমানা নির্ধারণ করা না গেলে বিদ্যমান সীমানার আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে’।
সংসদের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং বাংলায় আইন করতেই মূলত বিলটি আনা হয়।
সামরিক সরকারের আমলে জারি হওয়া ‘দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্সের’ সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছিল। সেগুলো আমলে নেওয়া হয়নি।