প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১, ৮:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ডাক্তারের টেবিলের উপর একটি ঘুমন্ত কুকুরের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গত রোববার রাত ১১টায় উপজেলার পিঞ্জুরী গ্রামের সুমন শেখ মোবাইল ফোনে ছবিটি ধারণ করেন এবং ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেন।
এই ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট দিপক বিশ্বাস ও নৈশ প্রহরী হালিম শেখকে কারণ দর্শানো নোটিস দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য।
সুমন শেখ (৩৫) সাংবাদিকদের বলেন, রোববার রাত ১১টার দিকে তিনি তার অসুস্থ শাশুড়িকে গিয়েছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখেন চিকিৎসক, নার্স বা কর্তব্যরত কেউ নেই। আর চিকিৎসকের কক্ষে গিয়ে দেখেন, টেবিলের উপর শুয়ে আছে একটি কুকুর।
গত রোববার রাত ১১টার দিকে আমার অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসি। জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখি কেউ নেই। ডাক্তারের টেবিলের উপরে একটি কুকুর ঘুমিয়ে আছে। আমি তখন ওই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করি।
‘অনেক ডাকাডাকির পর ফার্মাসিস্ট দিপক বিশ্বাস ও নৈশপ্রহরী হালিম শেখ এসে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তারকে ডেকে আনেন। এরপর ডাক্তার রাজিয়া সুলতানা লোপা আমার শাশুড়ির চিকিৎসা করেন।’
ফার্মাসিস্ট দিপক বিশ্বাস বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট। জনবল কম থাকার কারণে আমাকে জরুরি বিভাগে ডিউটি করতে হয়। ওই রাতে অল্প সময়ের জন্য আমি ও নৈশপ্রহরী হালিম জরুরি বিভাগের পাশে ১০২ নম্বর রুমে গিয়েছিলাম।
‘এর ফাঁকে ডাক্তারের টেবিলের উপর একটি কুকুর উঠে ঘুমিয়ে পড়ে। আমি এসে কুকুরটি দেখতে পেয়ে তাড়িয়ে দেই।’
ডা. রাজিয়া বলেন, জরুরি বিভাগ দেখার দায়িত্ব ফার্মাসিস্ট ও নৈশপ্রহরীর। আমরা রাতে জরুরি বিভাগের পাশে ডাক্তারদের যে রুম আছে সেখানে থাকি। রোগী আসলে ফার্মাসিস্ট ও নৈশপ্রহরীরা আমাদের ডেকে নেয়। টেবিলের উপরে কুকুর উঠে ঘুমানোর বিষয়টি আমি দেখেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য বলেন, জরুরি বিভাগে কর্মরত ডাক্তারের টেবিলের উপরে কুকুর উঠে ঘুমানোর ছবিটি আমি দেখেছি। দায়িত্বে অবহেলার কারণে ওই রাতে কর্মরত ফার্মাসিস্ট দিপক ও নৈশপ্রহরী হালিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা দুজন সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের পাতা/কে