প্রকাশ: রোববার, ১ আগস্ট, ২০২১, ১০:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনার এখনকার পরিস্থিতির কথা আমাদের সবারই জানা। ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে করোনা। আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যাপ্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। করোনা নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে চলছে কঠোরলকডাউন।
মূল সড়কে পুলিশের ভয়ে বিধিনিষেধ সর্বাত্মকভাবে মানতে দেখা গেলেও পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকানে চলছেজমজমাট আড্ডা, ঘেঁষাঘেষি করেই চলছে বাজার। বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি আর সামাজিকদূরত্ব। শনিবার,রবিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। অলিগলিতে জটলা পাকিয়ে জমিয়েআড্ডা দিচ্ছেন স্থানীয়রা।
স্বাস্থবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিভিন্ন রকম অজুহাত দেখাচ্ছন সবাই ‘কঠোর লকডাউন’ কেমন হচ্ছে তা দেখতে বেরহয়েছেন অনেকেই। এ ছাড়া অনেকেই বের হচ্ছেন বাজার করার অজুহাতে। কেউ বলেছন, ইদের পরে বের হয়েছেন বন্ধুদের সাথেদেখা করতে।
জামাল নামের একজন জানান, সারাদিন বাসায় থেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। এজন্য সন্ধ্যার পর বন্ধুদের নিয়ে বেরহয়েছি। সন্ধ্যার পর পুলিশের তৎপরতা তেমন থাকেন না তাই বের হয়েছি আমরা সবাই। কিন্তু গলিতে এসে দেখি স্বাস্থ্যবিধি বালকডাউনের কোনো বালাই নেই। চায়ের দোকান থেকে ফুচকার দোকান সবই খোলা।
মুখে মাস্ক না পরে ফুটপাতে পান সিগারেটবিক্রি করেছন রজব আলি। মাস্ক পরেননি কেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরে কী হবে? এই লকডাউনে আমাদেরবেচা বিক্রি নেই। তিনবেলার খাবার জোগাড় করতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। করোনা যদি কপালে থাকে এমনিতেই হবে। আল্লাহযেদিন নেবে, সেদিন চলে যেতেই হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন বার করে সতর্ক করা হলেও, মানুষ যে এখনও সচেতন হচ্ছে না, সচেতন না হয়ে বিপদ বাড়াচ্ছে।এইভাবে লকডাউন চললে কোন কার্যকর ফলাফল আসবে না।