প্রকাশ: রোববার, ২৫ জুলাই, ২০২১, ১১:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এই মানবিকতার বিষয়ে বলতে গেলে বলা যায় আমরা ব্যক্তিগতভাবে, দলগতভাবে কিভাবে মানুষের পাশে আছি সেটাই আলোচ্য বিষয়। বাঙালির সংস্কৃতি হচ্ছে যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এই মহামারিতে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন রাজনৈতিক দল মাঠে নামেনি। কোন এনজিও, কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মাঠে নামেনি। আমরা আগে দেখতাম যেকোনো দুর্যোগে অনেকেই মাঠে নামতো। কিন্তু এইবার শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দল মাঠে নামেনি এবং সেজন্য আওয়ামী লীগকে খুব বড় ধরনের ত্যাগ করতে হয়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আমাদের অনেক বড় বড় নেতাকর্মীদের চিরদিনের জন্য হারাতে হয়েছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪১১তম পর্বে রোববার (২৫ জুলাই) আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস এন্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির গভর্নিংবডি সদস্য, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা ফাইয়াজুল হক রাজু। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ফাইয়াজুল হক রাজু বলেন, নেতৃত্বের গুণাবলীর কারণে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ থেকে সাম্প্রদায়িকতার যে ছোবল সেটার যে ব্যাপ্তি ছিল সেটার থেকে বেঁচে গিয়েছে গত ১০-১২ বছরের মধ্যে। অর্থনৈতিক বা সামাজিক যে অবক্ষয়ের যে খাদে পরে গিয়েছিল বাংলাদেশ সেখান থেকে একটা ইউটার্ন করে একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। এই সময়ে এসে এই করোনার বৈশ্বিক আগ্রাসনের ভেতরে পরে যায় দুর্ভাগ্যক্রমে। সে জায়গাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও তেমন প্রস্তুতি তেমন ছিল না। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কিছু অপ্রতুলতার কারণে এই সমস্যাটা হয়েছে। যেটা আমি শুরুতে বলেছিলাম, নেতৃত্বের গুণাবলীর কারণে আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি কি না এই বয়সে এসেও বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থায় এর হাল এখনো ধরে রাখতে পেরেছেন। তাঁর নির্দেশে সারাদেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দরিদ্র, অসহায় ও কর্মহীন জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছে। জনগণকে করোনার এই সংকটকালে নানাভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। কারণ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই দেশের মানুষের পাশে থেকে এ দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে এগিয়ে চলে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা রাজধানী থেকে গ্রাম পর্যন্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠনগুলো করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই সারাদেশে করোনায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। টেলিমেডিসিন সেবা চালুর করার পাশাপাশি জরুরি অক্সিজেন সেবা, শিশু খাদ্য সরবরাহ, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, সুরক্ষাসামগ্রী বিরতণসহ প্রয়োজনীয় অনেক সেবা চালু রেখেছ। বিধি নিষেধের কারণে খেটে-খাওয়া মানুষগুলো অনেক ক্ষেত্রেই কাজ হারিয়েছে। দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ থাকায় চাকরি হারাচ্ছেন অনেক বিক্রয়কর্মী। ব্যবসা করতে না পারায় অফিস ও দোকান ভাড়াসহ নানান সংকটে পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় দিনমজুর, দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নিদের্শনায় বাংলাদেশ বেশ ভালোভাবেই করোনাকে সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে। মূলত সীমিত আয়তন ও বিপুল জনসংখ্যার বাংলাদেশের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দৃঢ়চিত্তে তা মোকাবিলা করে চলেছেন। করোনা মোকাবিলায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন দিতে হয়েছে। আবার অর্থনীতির চাকা সচল করার জন্য যথাসময়ে ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। তার নিরলস পরিশ্রম অদম্য মনোবলের কারণে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের আগেই করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ইতিবাচক সাফল্য অর্জন করেছে। এইরকম কাজ যদি আমরা চালিয়ে যেতে পারি তাহলে আমাদের পাশে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ভীত আরও অনেক মজবুত হবে বলে আমি আশা করছি।