শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা এখনো করোনায় বিপন্ন মানুষদেরকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি: ড. শ্রী বীরেন শিকদার
প্রকাশ: শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১, ১০:৫৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আসলে মানবিকতার শীর্ষে আমাদের থাকতে হবে, এটাই আমাদের শপথ হওয়া উচিত। সেই ক্ষেত্রে যিনি আমাদের অনুপ্রেরণা জোগান তিনি হচ্ছেন আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতেই এই দেশের খেঁটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের প্রতি দরদ দেখিয়ে দেশকে পরিচালনা করে এসেছেন এবং দেশকে ভালো রেখেছেন। সুস্থ রাখার অভিপ্রায়ের লক্ষ্যে তিনি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় যথেষ্ট মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার প্রয়াসে তিনি সফল হয়েছেন। করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লড়াইটা ছিল প্রশংসনীয়। জীবন এবং জীবিকাকে পাশাপাশি রেখে মানুষ যেন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে না পড়ে সেটা দেখাই ছিল তাঁর কৌশলের প্রধান দিক। তবে মহামারির মধ্যে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ অতিতের মতো মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪১০তম পর্বে শনিবার (২৪ জুলাই) আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার, সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ড. শ্রী বীরেন শিকদার বলেন, আজকে ভোরের পাতা লাইভ সংলাপে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভোরের পাতা কর্তৃপক্ষসহ সঞ্চালক নাসির উদ্দিন আহমেদকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকের এই দিনে আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যে মহামানবের অবদানে আজ আমরা লাল সবুজের পতাকা নিয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৫ আগস্টের সেই কালো রাতে তাঁর পরিবারের যেসব সদস্যরা শাহাদাতবরণ করেছিলেন। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ ইজ্জত হারা মা বোনদের। গভীরভাবে স্মরণ করি জাতীয় ৪ নেতাকে। আজকে আলোচ্য বিষয় ‘করোনায় মানবিকতা’। বাংলাদেশে করোনার যে আগ্রাসন গত বছরের ৮ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে আমরা কিন্তু করোনাকে সফলভাবে মোকাবিলা করে চলে এসেছি। বাংলাদেশে করোনার আগ্রাসনের শুরু থেকেই জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এটাকে প্রতিরোধ করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রথম পর্যায়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন, সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে পড়েছিল। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ সহ সব নেতাকর্মীরা প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করোনা মোকাবিলার জন্য আমাদের সীমিত সামর্থ্য ও স্বাস্থ্য সুবিধা ছিল সেটাকে মাথায় নিয়েই আমরা করোনা মোকাবিলা করে আসছি এখন পর্যন্ত। করোনাকালীন সময়ে আমাদের যে নেতাকর্মীরা আছেন তারা সবাই একেবারেই ইউনিয়ন পর্যায়ে থেকে শুরু করে সকল স্থানে যারা এই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে তাদের সেবায় রত আছে। সারাদেশে তারা করোনায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে। খাদ্য বিতরণ, সবজি বিতরণ, অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করে রাখা, মৃত্যু ব্যক্তির দাফন কাফন করেছে। করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াইটা ছিল প্রশংসনীয়। জীবন এবং জীবিকাকে পাশাপাশি রেখে মানুষ যেন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে না পড়ে সেটা দেখাই ছিল তাঁর কৌশলের প্রধান দিক। তবে মহামারির মধ্যে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ সংকটের মধ্যে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বরাবরের মতই। তাইতো আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এই করোনাকালে আক্রান্ত হয়েছেন, মারাও গেছেন অনেকে। সহযোগী সংগঠনগুলো পৃথক পৃথকভাবে টেলি হেল্থ, ফ্রি অক্সিজেন সিলিন্ডার, লাশবাহী ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস এবং বিভিন্ন সুরক্ষাসামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার) বিতরণের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। যারা সত্যিকারের অর্থেই এই সাহায্যের যোগ্য তাদেরকেই এই সেবাগুলো দেওয়ার জন্য আমাদের মাঠ পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা দৈনন্দিন কাজে নিয়োজিত তাদের কাছে যাতে সত্যিকার অর্থে এই সাহায্য সহযোগিতা পৌঁছায় সেজন্য সব প্রকার প্রচেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে এবং দলের পক্ষ থেকে নেত্রীর নির্দেশে অত্যন্ত সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে।