করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে দেশে দেশে চলছে টিকাদান। কিন্ত এখনো স্বস্তিতে নেই বিশ্ববাসী। এরই মধ্যে করোনায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ কোটি ১২ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪১ লাখ। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭ কোটি ৪১ লাখের বেশি মানুষ।
করোনা সংক্রমণের তথ্য সরবরাহ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার (১৯ জুলাই) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ কোটি ১২ লাখ ২৯ হাজার ৭০০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪১ লাখ ৫ হাজার ৮২০ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৭ কোটি ৪১ লাখ ৮১ হাজার ৯০৯ জন।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনো বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৪৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৭ জন। এতে মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ২৪ হাজার ৭৪৬ জনের।
অন্যদিকে করোনা শনাক্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৯৫ জন। এতে মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ১৪ হাজার ১৪১ জনের। আর এ মহামারি থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি তিন লাখ ৭৬২ জন।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। যদিও মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তারা। সেখানে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪২ হাজার ২৬২ জনে। এছাড়া এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে এক কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার ৫৭৪ জন। এছাড়া দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ২৩ হাজার ৫১২ জন।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৬ নম্বরে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ ও মৃত্যু বৃদ্ধি পাওয়ায় বেলজিয়ামকে পেছনে ফেলে এক ধাপ এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন হয়েছেন ১১ লাখ তিন হাজার ৯৮৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৭ হাজার ৮৯৪ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন নয় লাখ ৩২ হাজার ৮ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। এরপর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ভোরের পাতা/ই