শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিরোনাম: মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির    মৎস খাতে বাংলাদেশকে ১৭২ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছে জাপান     আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হলেন আম্পায়ার সৈকত    জেনে নিন আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস    শুক্রবার নাগাদ আসতে পারে ভারতের পেঁয়াজ    বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের    বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়াই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
সেদিন অবরুদ্ধ গণতন্ত্র, কেঁদেছিল বাংলাদেশ
#শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে: অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক। #সেদিনের জন্যই ১৬ জুলাইয়ের নাম গণতন্ত্র অবরুদ্ধের দিন: সুলতান মাহমুদ শরীফ। #মাইনাস-টু ফর্মুলার সূত্র ধরে মাইনাস ওয়ান কায়েম করতে চেয়েছিল তারা: অ্যাড. কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। #বঙ্গবন্ধুর মতো শেখ হাসিনার উপরেও সেদিন হামলা করা হয়েছিল: মে. জে. (অব.) আব্দুর রশিদ। #বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ১৬ জুলাই একটি কালো দিন: ড. মোহাম্মদ আলী মানিক। #স্বাধীনতা শক্তির বিরোধীরা সেদিন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করেছিল: ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১, ১২:০৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশের রাজনীতির পরিমণ্ডলে ১৬ জুলাই ইতিহাসের একটি বিশেষ তাৎপর্যের তাড়নার উদ্ভব ঘটায়। সময়টা ২০০৭ সাল, আজ থেকে ১৪ বছর পূর্বে অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্র পরিচালনা করা তৎকালীন ১/১১’র কুশীলবদের দ্বারা পরিচালিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের মানসকন্যা জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বেআইনি প্রক্রিয়াই  গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ করে। এই দিনটি এদেশের ইতিহাসে ‘গণতন্ত্র অবরুদ্ধ ও হত্যা প্রচেষ্টা দিবস’ হিসেবে বহুল পরিচিত। চারদলীয় জোট সরকার এবং তাদের ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র ‘হাওয়া ভবন’ যে দুর্নীতির তাণ্ডব চালিয়ে গেছে, তাতে সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে গড়ে তোলা তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো ধরপাকড় করবে বিএনপি নেতাদেরই। সেটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনা এবং তার দলের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতা গ্রেফতার হন সেই বিতর্কিত সরকারের রোষানলে পড়ে। সে জন্যই আজ পর্যন্ত এই দিনটির নাম রয়ে গেছে গণতন্ত্র অবরুদ্ধের দিন। সেদিন যদি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পরাজিত করে সেসময় কারাগারে রাখতে পারত তাহলে বাংলাদেশ যে হাজার হাজার বছর ধরে লুটের কেন্দ্রবিন্দু ছিল সেই লুটের কেন্দ্রবিন্দুই থেকে যেতো। 

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪০২তম পর্বে শুক্রবার (১৬ জুলাই) আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সামরিক গবেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ড. মোহাম্মদ আলী মানিক, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনারারি, কনস্যুলেট, জার্মান দূতাবাস, ফর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, জার্মানির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেসের রাজনীতি পরিমণ্ডলে আজকের দিনটি (১৬ জুলাই) ইতিহাসের একটি বিশেষ তাৎপর্যের তাড়নার উদ্ভব ঘটায়। সময়টা ২০০৭ সাল, আজ থেকে ১৪ বছর পূর্বে অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্র পরিচালনা করা তৎকালীন ১/১১’র কুশীলবদের দ্বারা পরিচালিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের মানসকন্যা জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বেআইনি প্রক্রিয়াই গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ করে। এই দিনটি এদেশের ইতিহাসে ‘গণতন্ত্র অবরুদ্ধ ও হত্যা প্রচেষ্টা দিবস’ হিসেবে বহুল পরিচিত। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাঁকে ধানমন্ডির নিজ বাসভবন সুধাসদন থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের জন্য সুধাসদনের চতুর্দিক বিভিন্ন বাহিনীর দুই সহস্রাধিক সদস্য ঘিরে রেখেছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা এর মধ্যে ফজরের নামাজ আদায় করেন। তার গ্রেফাতারের মাত্র ১১দিন আগে নেত্রী আমাদেরকে সিগনাল দিলেন। আমাকে আর মির্জা আজমকে। ডিপ আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাও, প্রয়োজনবোধে একশ হাত মাটির নিচ দিলে হলেও বের হয়ে যাও, তোমাদেরকে কিন্তু ক্রসফায়ার করবে। আসলে স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে না দেওয়ার জন্যই সেনাসমর্থনে ফখরুদ্দীনের অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়। গ্রেফতারের পরই বঙ্গবন্ধু কন্যার মুক্তির দাবিতে দেশে-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে, কবিরা কবিতায় সরব হন। শেখ হাসিনা বিদেশে থাকলে বা দেশে এসেও আন্দোলনের ডাক না দিলে ওরা পাঁচ-সাত বা দশ বছর ক্ষমতা দখল করে রাখত। এদিকে কারা অভ্যন্তরীণ অবস্থায় শেখ হাসিনা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দেন। জরুরি অবস্থার মধ্যে দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জামিনে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। প্রায় ১১ মাস কারাবন্দি থাকার পর ২০০৮ সালের ১১ জুন জামিনে মুক্তি পেয়ে শেখ হাসিনা পরদিন চিকিৎসার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র যান। চিকিৎসা শেষে ৬ নভেম্বর দেশে ফেরেন তিনি। দেশে ফিরে শেখ হাসিনা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করেন। শেখ হাসিনা ৩৩১ দিন কারাবাসের সময়গুলোতেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তেমনি তার নির্দেশনা অনুযায়ী গণতন্ত্র মুক্তির সংগ্রামে জনমতকে সংগঠিত করেছিল। শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করতেন, সত্যের জয় হবেই। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এমনকি তার জীবন বিপন্ন করারও অপচেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার সাহসী ভূমিকা ও জনমতের কাছে গণতন্ত্রবিরোধী সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে মহাজোট। পরপর তিনবার নির্বাচনে বিজয়ী শেখ হাসিনা ১৩ বছর ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

সুলতান মাহমুদ শরীফ বলেন, আমার স্মৃতিতে সেই সময়কার কথাগুলো এখনো মনে পড়ে কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সেদিন রাতের কথা মনে আসলে আজও আবেগপ্রবণ হয়ে যাই। আমরা মাঠ কর্মী হিসেবে সেদিনকার পর থেকে এখনো সেই বিরহ স্মৃতি ভুলিনি। সে দিনের পর আমরা আরও যে সকল নেতাকর্মীদের হারিয়েছি, জাতীয় ৪ নেতাকে হারিয়েছি, সেই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে আজও বেঁচে আছি। এই যে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে তা বহন করে যাচ্ছি এবং যে সংগ্রামী চেতনা আমাদের মধ্যে ছিল সেটা আমাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ রেখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তাঁর চিন্তা চেতনাকে সমুন্নত রেখে আজও কাজ করে যাচ্ছি। আজকে এইদিনে অর্থাৎ ২০০৭ সালের এই দিনে একটা বিশৃঙ্খলা অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশ ছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর আমরা জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাকে হারিয়ে আমরা সবাই অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিলাম। সে অবস্থা থেকে কাটিয়ে আসার জন্য এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সকলে নিরলসভাবে কাজ করেছি। ১৯৮১ সালের এপ্রিল মাসে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে যাওয়ার জন্য সংগ্রাম করেছি এবং আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় উনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হয়েছিলেন। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে তিনি নিজের সন্তানদের বিদেশের মাটিতে ফেলে রেখে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তারপর দীর্ঘ সংগ্রামের পর তিনি বাংলার জনগণকে এক মুহূর্তের জন্য ত্যাগ করেননি। এরপর আমরা ৫ বছর জনগণের সেবার জন্য ক্ষমতায় ছিলাম এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে গিয়েছিলাম। তারপর নানা রকমের কারসাজি ও আমেরিকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খালেদা জিয়া একসময় দেশের ক্ষমতায় আসেন এবং এসে লুটপাট আরম্ভ করেন। সেই লুটপাটের ফলে লুটেরা সমাজ তৈরি হয় তখন। সেই লুটপাটের সময় শুধু বেগম খালেদা জিয়া নয় সেসময় তার আত্মীয়-স্বজনসহ দেশে তাদের সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা কথিত ধনীতে পরিণত হন। আজও এত বছর পরে তারা পৃথিবীর যেখানেই আছে, সেখানেই বাঙালি বলে নাম দিলে সব থেকে ধনী লোকে পরিণত হয়েছে, এত লুটতরাজ করেছে তারা। চারদলীয় জোট সরকার এবং তাদের ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র ‘হাওয়া ভবন’ যে দুর্নীতির তাণ্ডব চালিয়ে গেছে, তাতে সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে গড়ে তোলা তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো ধরপাকড় করবে বিএনপি নেতাদেরই। সেটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনা এবং তার দলের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতা গ্রেফতার হন সেই বিতর্কিত সরকারের রোষানলে পড়ে। সেজন্যই আজ পর্যন্ত এই দিনটির নাম রয়ে গেছে গণতন্ত্র অবরুদ্ধের দিন। সেদিন যদি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পরাজিত করে সেসময় কারাগারে রাখতে পারত তাহলে বাংলাদেশ যে হাজার হাজার বছর ধরে লুটের কেন্দ্রবিন্দু ছিল সেই লুটের কেন্দ্রবিন্দুই থেকে যেতো। 



অ্যাড. কাজী নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, ২০০৭ সালের সেদিনে মাত্র ফজরের নামাজ পড়া শেষ করেছিলেন মাত্র তারপর তাসবিহ পড়া ও নামাজের পোশাক পরারত অবস্থায় সেদিন গ্রেফতার করা হয়েছিল এই বাংলাদেশের মহানায়ক জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। মুহূর্তের মধ্যে ঢাকা শহরে ছড়িয়ে পড়লো এই কথা। এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ, মিছিল, সমাবেশ হয়েছে। গ্রেফতারের পর থেকেই দেশ-বিদেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। সেদিন ভোরে সেনা সমর্থিত তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ধানমন্ডির সুধাসদন থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে কয়েকটি মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখান থেকে শেখ হাসিনাকে সরাসরি জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে স্থাপিত সাবজেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেসময় আরেক নেত্রীকে গ্রেফতার করা হলেও তার মামলাগুলো খুব ধীর গতিতে চলছিলো, সেই মামলা দ্রুত শেষ করার কোন তাগিদ ছিল না। এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিকল্পনা ছিল শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করা। সে জন্য বের করা হয় অদ্ভুত তত্ত্ব মাইনাস-টু ফর্মুলা। কিন্তু তারা জানত তাদের ক্ষমতার পথের কাঁটা শেখ হাসিনাই। তাই তাকে মাইনাস করার জন্য উঠেপড়ে লাগে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা। অদম্য শেখ হাসিনা যখন দেশে ফেরার ব্যাপারে অনড় থাকলে ১৮ এপ্রিল ২০০৭-এ সরকার শেখ হাসিনাকে দেশের জন্য ‘বিপজ্জনক ব্যক্তি’ আখ্যায়িত করে দেশে ফেরার ব্যাপারে চূড়ান্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, শেখ হাসিনাকে বহন করলে ঢাকায় তাদের ল্যান্ড করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু তিনি তো বঙ্গবন্ধু কন্যা, তাকে তো এভাবে আটকানো সম্ভব নয়। সব বাধাকে অতিক্রম করে ৭ মে জরুরি অবস্থা এবং সরকারের কঠোর প্রতিরোধের মুখে তিনি দেশে ফিরে আসেন। জরুরি অবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লাখ লাখ জনতা মুজিবকন্যাকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানায়। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য! সেনাসমর্থিত সরকারের তোপের মুখে জীবনবাজি রেখে লাখো মানুষ বিমানবন্দর থেকে হেঁটে মিছিল সহকারে তাদের প্রিয় নেত্রীকে প্রথমে ধানমন্ডি ৩২ নং বঙ্গবন্ধু ভবন ও পরে সুধা সদনে নিয়ে যায়। ২০০৯ সাল থেকে পরপর তিনটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে গত এক যুগ দেশ পরিচালনা করছে। বাংলাদেশকে আমূল বদলে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। দেশ-বিদেশে প্রবল চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই করেও উন্নয়নের চাকা সচল রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটিয়েছেন, দ্রুতগতিতে কমিয়ে এনেছেন দারিদ্র্যের হার। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা, নারীর ব্যাপক ক্ষমতায়ন ইত্যাদি সূচকে উন্নয়নে অগ্রগতি সাধন করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন,  আসলেই এই গ্রেফতারের যে ফাস্ট হ্যান্ড ইনফরমেশনগুলো নানক ও হিরুভাইয়ের কাছ থেকে যেভাবে শুনলাম সেগুলো আসলে একটু ইউনিক তথ্য। কিন্তু আমি একটু ভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করতে চাই। আসলে তাকে কেন গ্রেফতার করা হলো এবং কি প্রক্রিয়াই গ্রেফতার করা হলো। সেখানে ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিনের নাম এসেছে, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নাম এসেছে। আমরা দেখতে পারছি যে, গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে শুধু গ্রেফতার করা হয়নি তার সাথে সাথে সামরিকবাহিনীকে রাজনীতিকরণের পায়তারাও করা হয়েছে। আরেকটি পয়েন্ট হচ্ছে পঁচাত্তরের আগস্টের ধারাবাহিকতার আরেকটি অংশ হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিলুপ্ত করা এবং বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর তাঁর কন্যা সেই চেতনা ও পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে মাঠে নেমেছে। তখন সেটাকে নস্যাৎ করার জন্য তার উপর কয়েকবার হত্যা হামলা করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। প্রতিবারই তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন। এমনকি রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশ্য দিবালোকে জঙ্গি চক্রের সহায়তায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনাসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের একসঙ্গে হত্যার নীলনকশাও দেশবাসীকে প্রত্যক্ষ করতে হলো। কিন্তু এগুলো করতে না পেরে তার উপর সেদিন প্রাতিষ্ঠানিক হামলা করা হলো যেটা আমরা দেখেছি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মামলা দিয়ে তারা বঙ্গবন্ধুকেও হত্যা করতে চেয়েছিল।  বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। ১/১১ এর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার হাজারো চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে দেশ এবং দেশের জনগণ থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করতে। পরবর্তীতে তিনি তার সততা, দক্ষতা এবং দেশপ্রেমের কারণে ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালে দশম এবং ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের মানুষ আর জোট সরকারের দুঃশাসনে ফিরে যেতে চায় না, শেখ হাসিনার মাঝে তারা খুঁজে পায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ছিল, সেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন বলেই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবের ভিত্তি ভূমি পেয়েছে। শেখ হাসিনার শক্তি আছে বলেই মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের মর্যাদা নিয়ে সগৌরবে বাঁচেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, সাহসী পদক্ষেপে বাংলাদেশ আজ শুধু উন্নয়ন আর অগ্রযাত্রার মাইলফলকই নয় বরং শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্ব আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। কিন্তু এখনো ষড়যন্ত্র বিদ্যমান আছে, তাই আমাদের এখনো আরও সচেতন হতে হবে, সৎ নেতৃত্বে বিশ্বাসী হতে হবে এবং বাংলাদেশের প্রতি আরও বেশি আনুগত্য হতে হবে।

ড. মোহাম্মদ আলী মানিক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে আজকের দিনটি একটি কালো দিন। আজকের এই দিনে সেদিন অর্থাৎ ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দুই সহস্রাধিক সদস্য সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বাসভবন সুধাসদন ঘেরাও করে। এমতাবস্থায় জননেত্রী শেখ হাসিনা ফজরের নামাজ আদায় করেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে সুধাসদন থেকে নিয়ে যায় এবং যৌথবাহিনীর সদস্যরা বন্দি অবস্থায় তাঁকে ঢাকার সিএমএম কোর্টে হাজির করে। বেশ কয়েকটি হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ১০ মাস ২৫ দিন কারারুদ্ধ ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা অর্থাৎ তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী। সামরিক বাহিনী সমর্থিত ইয়াজউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার না করে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করছিল- সেটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। ২০০১ থেকে বিএনপি-জামায়াত সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসনে বীতশ্রদ্ধ মানুষ যখন আন্দোলন সংগ্রাম করে গণতান্ত্রিক সুশাসনের প্রত্যাশা করছিল তখন দেশে জারি হয় জরুরি আইন, ক্ষমতায় বসে ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিনের প্রচ্ছন্ন সামরিক শাসন। যৌথবাহিনী গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকে মিথ্যা মামলায় ১৬ জুলাই গ্রেফতার করে কারারুদ্ধ করে। গণমানুষের নেত্রী যখন কারাগারে, তখন এ দেশের আপামর জনগণ তার অনুপস্থিতি গভীরভাবে উপলব্ধি করেছে। তার সাব-জেলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের উদ্বেগ, গ্রেফতারের সংবাদ শুনে দেশের বিভিন্ন স্থানে মারা যান চার জন। ১/১১-এর সরকারের সময় ঢাকা শহরের ২৫ লাখ মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর দিয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের উৎকণ্ঠা আপামর জনগোষ্ঠীকে স্পর্শ করেছিল। আদালতের চৌকাঠে শেখ হাসিনা ছিলেন সাহসী ও দৃঢ়চেতা; দেশ ও মানুষের জন্য উৎকণ্ঠিত। বঙ্গবন্ধু কন্যা হিসেবে সত্য কথা উচ্চারণে সবসময়ের মতোই বড় বেশি সপ্রতিভ ছিলেন তিনি। অবশেষে আইনি মোকাবিলার মাধ্যমে ২০০৮ সালের ১১ জুন শেখ হাসিনা কারাগার থেকে মুক্তি পান। আজ শেখ হাসিনার শাসনামলে গত ১৩ বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির স্থিতিশীলতা এসেছে, মানুষের মনে একটা উন্নয়ন স্পৃহা তৈরি হয়েছে। তাই যে বিশ্বব্যাংক প্রায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল এদেশ থেকে, সে নিজ থেকেই সেই দেশকে দারিদ্র্য বিমোচনের রোল মডেল স্বীকৃতি দিয়ে ফিরে আসে উন্নয়নের বড় অংশীদার হতে। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাড়া বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে।

ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার আগে আমি বাংলাদেশে ছিলাম এবং তার গ্রেফতারের আগের দিন ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারে আমার যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। আজকের মন্ত্রী হাসান মাহমুদ ভাই সেদিন আমাকে তার আত্মীয় হিসেবে সেদিন সেখানে নিয়ে যায়। সেদিন নেত্রী আমাদেরকে বলেছিল তোমরা যারা দেশের বাহিরে আছো তারা শক্তভাবে থাকবে এবং দেশের বাহিরে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে এই সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে। আমরা ইউরোপে যারা ছিলাম এবং যুক্তরাজ্যে যারা ছিলেন, ইউরিপিয়ান আওয়ামী লীগের যেসকল নেতাকর্মীরা ছিলেন  তখন ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের ৩ জন শক্তিশালী নেতা ছিলেন জার্মানির নাগরিক। আমরা তাদেরকে বলেছিলাম আপনারা শুধু একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন, তাহলে দেখবেন যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আপনাদেরকে একটি গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিবেন। মূলত স্বাধীনতা শক্তির বিরোধীরা সেদিন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করেছিল। আসলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে খুন করার সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া দুই কন্যার সংগ্রামী জীবনে শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়ে দুঃখের কষ্টিপাথরে সহিষ্ণুতার দীক্ষায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিলেন ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়ে। পঁচাত্তর থেকে পঁচানব্বই দীর্ঘ ২১ বছর পর স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি হন প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। তারপর ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অমানিশার দুর্যোগে প্রাণ বাঁচানোর দুঃসহ স্মৃতি; অর্থাৎ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া জীবন নিয়ে আবার নির্যাতিত জনগণের জন্য রাতদিনের পরিশ্রম- কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর সময় হঠাৎ করে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কারাগারে বন্দি হলেন। সেই অবৈধ অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার জানতো যে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলে একাত্তরের মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীরা বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। জাতির পিতার হত্যাকারীরা ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হবে। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, কুৎসা, অপপ্রচার চালানো হয়েছে, হচ্ছে এবং চলতেই থাকবে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, দুঃশাসন, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল। সেসব দুর্নীতিবাজের সঙ্গে মিলিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে একই পাল্লায় অভিযুক্ত করাটা ছিল সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রেরই অংশ। ২০০৭ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক নাটকীয় ঘটনার জন্ম হয়েছে। সেসময় ‘মাইনাস টু’র কুশীলবদের উচ্চস্বর ও দাম্ভিকতা, বিচারকদের অসহায়ত্ব আর শেখ হাসিনার জন্য জনগণের বেদনাবোধ অন্যান্য দেশের মানুষকে আলোড়িত করেছিল। শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য দেশ-বিদেশে যে জোরাল দাবি উঠেছিল তা ছিল অভূতপূর্ব।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


আরও সংবাদ   বিষয়:  ভোরের পাতা সংলাপ   গণতন্ত্র   বাংলাদেশ  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]